মুম্বই: তিনি মাঠে থাকা মানেই খবর। তিনি মাঠে নামা মানেই নতুন কিছু ঘটনার সাক্ষী থাকা। চল্লিশ পেরিয়েও তিনি এখনও মাঠে অনবদ্য। এখনও রেকর্ড গড়ার অভ্যেস বজায় রেখেছেন। ঠিক যেমন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বিরুদ্ধে গতকাল মাঠে নেমে উইকেটের পেছনে নতুন রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন কুল।
উইকেটকিপার হিসেবে কোন রেকর্ড গড়লেন ধোনি?
চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলও জয়ের সরণিতে ফিরেছে। ৯১ রানে পন্থের দলকে হারিয়ে দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এবার বিশ্বের প্রথম উইকেট কিপার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০ ক্যাচ ধরার নজিরও গড়লেন ধোনি। ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে শার্দুল ঠাকুরের ক্যাচ লুফে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই নতুন রেকর্ডের মালিক হলেন বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
তালিকায় আর কারা রয়েছেন?
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের দীনেশ কার্তিক। আরসিবির জার্সিতে এবারের আইপিএলে খেলা কার্তিক ১৮২টি ক্যাচ ধরেছেন। পাকিস্তানের কামরান আকমল তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ১৭২টি ক্যাচ নিয়ে। তালিকায় চতুর্থ স্থানে প্রোটিয়া উইকেট কিপার কুইন্টন ডি কক (১৬৬)। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ১৫০টি ক্যাচ লুফেছেন উইকেট কিপার হিসেবে।
দিল্লি-বধ ধোনিদের
এই ম্যাচকে বলা হয় গুরু-শিষ্যের লড়াই। কারণ একদিকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। অন্যদিকে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই পন্থ, জাতীয় দলে যাঁকে ধোনির উত্তরসূরি মনে করা হয়।
সেই ম্যাচে শিষ্যের দলকে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিলেব ধেনিরা। চেন্নাই সুপার কিংসের ২০৮/৬ তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১৭ রানে শেষ দিল্লি। চেন্নাই বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট মঈন আলির।
আর ধোনিদের বড় ইনিংসের নায়ক ডেভন কনওয়ে। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৪৯ বলে ৮৭ রান করলেন তিনি। কনওয়ের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা। কনওয়েকে যোগ্য সঙ্গত করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৩৩ বলে ৪১ রান করলেন তিনি। রুতুরাজের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। সিএসকে-র দুই ওপেনার মিলে ১১ ওভারে ১১০ রান যোগ করেন। সেখানেই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায় যে, বড় স্কোর করবে সিএসকে। তিন নম্বরে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন শিবম দুবেও। ১৯ বলে ৩২ রান করেন তিনি। মাত্র ৮ বলে ১টি চার ও জোড়া ছক্কা মেরে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ধোনি।