কলকাতা: এরকম অভিজ্ঞতা তাঁরও বড় একটা হয়নি। তিনি কলকাতায়। অথচ হাজির থাকতে পারছেন না মেয়ের জন্মদিনে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে পরিবারের সকলের সঙ্গে কেক কাটছে মেয়ে। আর তিনি ব্যস্ত আইপিএল (IPL) গ্রহে। সন্ধ্যায় যখন বাড়িভর্তি অতিথি, ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) তখন ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) নেটে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছেন।


মেয়ে আনভির জন্মদিনে কী উপহার পাঠালেন? সোমবার দুপুরে এবিপি লাইভের প্রশ্নে ঋদ্ধিমান জবাব দেওয়ার আগেই টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে জুম কল ডিসকানেক্ট হয়ে গেল। পরে হোয়াটসঅ্যাপেই চলল কথোপকথন। এবিপি লাইভকে বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার বললেন, 'জৈব সুরক্ষা বলয়ে রয়েছি। এখান থেকে আর কী উপহার পাঠাব। আনভিকে রবিবার রাত ঠিক ১২টায় ভিডিও কল করেছিলাম। তখনই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি।'


শহরে থেকেও মেয়ের জন্মদিনে থাকতে পারলেন না ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। কারণ, তিনি রয়েছেন আইপিএলের (IPL) জৈব সুরক্ষা বলয়ে। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী দেবারতি ও সন্তানেরা রয়েছেন বাড়িতে। গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) অন্যান্য ক্রিকেটারদের পরিবার তাঁদের সঙ্গে থাকলেও ঋদ্ধির স্ত্রী-সন্তানেরা বাড়িতেই আছেন। সোমবার ছিল ঋদ্ধিমান-রোমির কন্যা আনভির জন্মদিন। কলকাতায় থেকেও মেয়ের জন্মদিনে সশরীরে হাজির থাকতে পারলেন না বঙ্গ তারকা। স্বাভাবিকভাবেই সাহা পরিবারে সকলের মন খারাপ।


এবিপি লাইভকে দেবারতি রবিবারই বলেছিলেন, 'সোমবার আট পূর্ণ করে নয়ে পা দিচ্ছে আনভি। কিন্তু কলকাতায় থাকলেও মেয়ের জন্মদিনে হাজির থাকতে পারবে না পাপালি (ঋদ্ধিমানের ডাকনাম)। ও বায়ো বাবল ছেড়ে বেরতে পারবে না। আমিও বায়ো বাবলের মধ্যে ঢুকতে পারব না।'


তবে মেয়ের জন্মদিনে শহরে থেকেও কেকের ভাগ পাবেন না, তাও আবার হয় নাকি! দেবারতি বলেছেন, 'ওর জন্য কেক ও খাবার পাঠানো হয়েছে টিমহোটেলে।' যোগ করেছেন, 'এমনিতে আইপিএলে ও যখন যে দলেই খেলুক না কেন, কলকাতায় ম্যাচ থাকলে দলের সতীর্থরা ওর কাছে মিষ্টি খাওয়ার বায়না করে। সকলের জন্য মিষ্টি ও দই পাঠানো হয়। এবারও তাই হয়েছে।'


আনভির জন্মদিন ঋদ্ধিকে ছাড়া কাটবে, মন খারাপ করবে না? দেবারতি বলছেন, 'আসলে ও মুম্বইয়ে থাকলে এতটা খারাপ লাগতো না হয়তো। কিন্তু কলকাতায় থেকেও আনভির জন্মদিনে থাকতে পারবে না বলে খারাপ লাগছে।'


আরও পড়ুন: আইপিএলে দুরন্ত খেলেও টেস্টে বাদ ঋদ্ধিমান? নির্বাচকদের ব্যাপার, বলছেন সৌরভ