মুম্বই: প্রথম স্পেলে মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) তখন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন। তিন ওভার বল করে মাত্র ১০ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। অন্যদিক থেকে বরুণ অ্যারন (Varun Aaron) তুলে নিয়েছেন এক উইকেট। ফিরে গিয়েছেন কে এল রাহুল (KL Rahul), কুইন্টন ডি'কক (Quintonm de Kock), মণীশ পাণ্ডেদের (Manish Pandey) মতো বড় নাম। মাত্র ২৯ রানে পড়ে গিয়েছে ৪ উইকেট।
ব্যাটে পাল্টা লড়াই
লখনউ সুপারজায়ান্টসের (LSG) অতি বড় সমর্থকও তখন ভাবতে পারেননি যে, দলের স্কোর দেড়শো পার করবে। এমনকী, ১০ ওভারের শেষে যখন লখনউয়ের স্কোর ৪৭/৪, মনে করা হচ্ছিল একশো রান তুলতেও বেগ পেতে হবে। সেখান থেকে ব্য়াট হাতে পাল্টা লড়াই করলেন দীপক হুডা (Deepak Hooda) ও আয়ুষ বাদোনি (Ayush Badoni)। দুজনই ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন। প্রথমে ব্যাট করে লখনউ তুলল ১৫৮/৬। ম্যাচ জিততে হলে ১৫৯ রান তুলতে হবে হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) গুজরাত টাইটান্সকে (Gujarat Titans)।
হুডা ও আয়ুষের দাপট
৪১ বলে ৫৫ রান করলেন দীপক। ৪১ বলে ৫৪ রান করে আউট হন আয়ুষ। শেষ দিকে নেমে ১৩ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। একসময় তাঁর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে বঢোদরা ছেড়েছিলেন দীপক হুডা। আইপিএলে অবশ্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে লখনউকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দিলেন।
গুজরাত বোলারদের মধ্যে শামি তিন উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট বরুণ অ্যারনের। এক উইকেট রশিদ খানের ঝুলিতে।টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত গুজরাতের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যর। তবে সুযোগ পেলেন না ঋদ্ধিমান সাহা।
গুজরাত টাইটান্সের একাদশ: শুভমন গিল, ম্যাথু ওয়েড, বিজয় শঙ্কর, অভিনব মনোহর, হার্দিক পাণ্ড্য, ডেভিড মিলার, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, বরুণ অ্যারন, লকি ফার্গুসন ও মহম্মদ শামি।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের একাদশ: কে এল রাহুল, কুইন্টন ডি'কক, এভিন লিউয়িস, মণীশ পাণ্ডে, দীপক হুডা, ক্রুণাল পাণ্ড্য, মহসিন খান, আয়ুষ বাদোনি, দুষ্মন্ত চামিরা, রবি বিষ্ণোই ও আবেশ খান।