মুম্বই: সকালটা দেখলেই বোঝা যায় যে সারা দিনটা কেমন যাবে। রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্সের (Gujrat Titans) প্রথম ইনিংস যেন তারই জানান দিচ্ছিল। ব্যাট হাতে অধিনায়কের মারমুখি ব্যাটিং। বিশাল স্কোর বোর্ডে তোলা। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। মাঝে জস বাটলারের (Jos Buttler) ঝোড়ো ইনিংস। যদিও শেষ পর্যন্ত জয় হল গুজরাত টাইটান্সেরই। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩৭ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে পৌঁছে গেল হার্দিক পাণ্ড্যর দল।
বুমেরাং বাটলার ঝড়, আগুনে বোলিং ফার্গুসনের
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদম সঠিক হয়েছিল রাজস্থানের। জস বাটলারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন দেবদত্ত পড়িক্কল। কিন্তু তিনি খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে বাটলার ছিলেন নিজের চেনা মেজাজে। শামিকে প্রথম ওভারে ১৩ রান দেন। এরপর আর থামানো যায়নি তাঁকে। এদিন গুজরাতের ব্যাটিংয়ের সময় অরেঞ্জ ক্যাপ তাঁর থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ফের তা নিজের দখলে আনলেন বাটলার। যখন ফিরলেন অর্ধশতরান হাঁকিয়ে তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২৪ বলে ৫৪ রান। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তিনি যখন আউট হলেন তখন রাজস্থানের স্কোর ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচে ফিরে আসে গুজরাত। পরপর উইকেট হারাতে থাকে সঞ্জু স্যামসনের দল। রাজস্থান অধিনায়ক নিজে রান আউট হয়ে ফেরেন। ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানই বোর্ডে তুলতে পারে রাজস্থান।
হার্দিকের অর্ধশতরানে বিশাল স্কোর গুজরাতের
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরলেন ম্যাথু ওয়েড। তৃতীয় ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন বিজয় শঙ্কর। পরপর ২ উইকেট। মাত্র ১৫ রান বোর্ডে তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল গুজরাত। এরপর ১৩ রান করে ফেরেন শুভমন গিল। সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন হার্দিক পাণ্ড্য ও অভিনব মনোহর। ক্যাপ্টেনকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিনব। শুরুতে কিছুটা স্লথ খেলছিলেন তিনি। তখন চালিয়ে খেলা শুরু করেন হার্দিক। পরে কিছুটা সেট হওয়ার পর অভিনবও চালিয়ে খেলা শুরু করেন। কিন্তু অর্ধশতরানের থেকে ৭ রান আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রান করেন অভিনব। তবে থামানো যায়নি হার্দিককে। ৫২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। মিলার ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন।