মুম্বই: রাজস্থান রয়্যালসের (RR) বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীনই মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। নিজের ওভার শেষ না করেই। তারপর থেকেই সমর্থকরা উদ্বেগে। ফের কি চোট পেলেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)?


কোনও চোট নয়। স্রেফ পায়ে টান ধরেছিল। তাই ওভার শেষ না করেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এমনটাই জানালেন গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক। যিনি চোটের কারণে দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। এমনকী ভারতীয় দলে নিজের জায়গা হারিয়েছেন।


মাঠ ছাড়েন হার্দিক


ঠিক কী হয়েছিল? কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই ১৮ তম ওভারে তিনটি বল করেন হার্দিক। দ্বিতীয় বলে আউট করেন জিমি নিশামকে। কিন্তু চতুর্থ বল করার সময় দৌড় শুরু করেও থেমে যান। তারপর মাঠ ছেড়ে চলে যান। তাঁর ওভার শেষ করেন বিজয় শঙ্কর। দেখা যায়, ডান পায়ের ঊরুর কাছে যেন অস্বস্তি হচ্ছে হার্দিকের। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছে বলেও অনেকে আশঙ্কা করতে থাকেন। যদিও ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজেই সেই উদ্বেগ দূর করেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘স্রেফ টান ধরেছিল। গুরুতর কোনও বিষয় নয়।’


ব্যুমেরাং বাটলার ঝড়, আগুনে বোলিং ফার্গুসনের


বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদম সঠিক হয়েছিল রাজস্থানের। জস বাটলারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন দেবদত্ত পড়িক্কল। কিন্তু তিনি খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে বাটলার ছিলেন নিজের চেনা মেজাজে। শামিকে প্রথম ওভারে ১৩ রান দেন। এরপর আর থামানো যায়নি তাঁকে। এদিন গুজরাতের ব্যাটিংয়ের সময় অরেঞ্জ ক্যাপ তাঁর থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ফের তা নিজের দখলে আনলেন বাটলার। যখন ফিরলেন অর্ধশতরান হাঁকিয়ে তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২৪ বলে ৫৪ রান। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তিনি যখন আউট হলেন তখন রাজস্থানের স্কোর ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচে ফিরে আসে গুজরাত। পরপর উইকেট হারাতে থাকে সঞ্জু স্যামসনের দল। রাজস্থান অধিনায়ক নিজে রান আউট হয়ে ফেরেন। ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানই বোর্ডে তুলতে পারে রাজস্থান। 


হার্দিকের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরলেন ম্যাথু ওয়েড। তৃতীয় ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন বিজয় শঙ্কর। পরপর ২ উইকেট। মাত্র ১৫ রান বোর্ডে তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল গুজরাত। এরপর ১৩ রান করে ফেরেন শুভমন গিল। সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন হার্দিক পাণ্ড্য ও অভিনব মনোহর। ক্যাপ্টেনকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিনব। শুরুতে কিছুটা স্লথ খেলছিলেন তিনি। তখন চালিয়ে খেলা শুরু করেন হার্দিক। পরে কিছুটা সেট হওয়ার পর অভিনবও চালিয়ে খেলা শুরু করেন। কিন্তু অর্ধশতরানের থেকে ৭ রান আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রান করেন অভিনব। তবে থামানো যায়নি হার্দিককে। ৫২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। মিলার ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। 


আরও পড়ুন: ষোলো আনা বাঙালিয়ানা, পাঞ্জাবি আর মিষ্টিমুখে নববর্ষ উদযাপন কেকেআর তারকাদের