আমদাবাদ: স্বপ্নের ফর্ম অব্যাহত জস বাটলারের। চলতি আইপিএলেই নিজের চতুর্থ শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন ইংল্যান্ডের এই তারকা ওপেনার। অরেঞ্জ ক্য়াপের দৌড়ে তিনি সবার আগে ছিলেনই। আরসিবি ম্য়াচের পর সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেন বাটলার (Jos Buttler)। 


চলতি আইপিএলে চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাটলার


চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বাটলার। এদিনের আগে পর্যন্ত তিনটে শতরান হাঁকিয়েছিলেন চলতি টুর্নামেন্টে। এদিন ৫৯ বলে নিজের শতরান পূরণ করেন ইংল্যান্ড তারকা। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত থেকে যান বাটলার। নিজের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৬ ম্যাচে ৮২৪ রান ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন বাটলার। একই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের জন্য ফাইনালে চলে গেল রাজস্থান রয়্যালস।


বিরাট কোহলির সঙ্গে একই সারিতে


২০১৬ সালে কেরিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলেন বিরাট কোহলি। সেবার আরসিবির জার্সিতে ৪টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক। একইসঙ্গে সেবার এক মরসুমে ৯৭৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিলেন কোহলি। এর মরসুমে সর্বাধিক রান করার তালিকায় বিরাটই এখনও পর্যন্ত শীর্ষে আছেন। কিন্তু এক মরসুমে সর্বাধিক সেঞ্চুরি করার তালিকায় বিরাটের সঙ্গে একই সারিতে জায়গা করে নিলেন বাটলার। ২ জনেই চারটে করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। বাটলার এর আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। 


ডেভিড ওয়ার্নারকে টেক্কা দেওয়ার পালা


এক মরসুমে সর্বাধিক রান করার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৬ মরসুমেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ৮৪৮ রান করেছিলেন বাঁহাতি অজি তারকা। এই তালিকায় এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাটলার। ফাইনালে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে বড় রান পেলেই ওয়ার্নারকে টপকে যাবেন বাটলার। 


ফাইনালে রাজস্থান, বিদায় আরসিবির


লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৫৮। বোলাররা তাঁদের কাজ করে রেখেছিলেন দারুণভাবে। বাকিটা দরকার ছিল ব্যাটারদের জ্বলে ওঠার। আর সেই কাজটা প্রায় একাই করে ফেললেন জস বাটলার। আইপিএলের শুরু থেকেই একের পর এক মারকাটারি ইনিংস। তিন তিনটে সেঞ্চুরি আগেই করে রেখেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে তাঁর ব্য়াট হঠাৎ করেই কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। সমর্থক, অনুরাগীরাও হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ঠিক তেমনই হল। এদিন ১০টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার। যশস্বী জয়সওয়াল ২১ ও সঞ্জু স্যামসন ২৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ৩ উিকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রাজস্থান। হর্ষল পটেলকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালে তোলেন বাটলার।