আমদাবাদ: জিতলেই ফাইনালের টিকিট পাকা। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান বোর্ডে তুলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore)। আঁটসাঁট বোলিং করলেন রাজস্থানের বোলাররা। তবে আরসিবির হয়ে ফের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন রজত পাতিদার।
রজতের অর্ধশতরান, রাজস্থান ১৫৭/৮
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। আরসিবির হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। আগের ম্য়াচে ২৫ রান করেছিলেন। এদিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাত্র ৭ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন কিং কোহলি। এরপর রজত পাতিদারকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ফাফ ডু প্লেসি। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন ফাফ। তবে রজত পাতিদার ছিলেন আগের ম্য়াচের মেজাজেই। ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন ইডেনে, সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন এদিন। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৫৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
তবে রজত বাদে বাকি কেউই এদিন সেভাবে রান পাননি। ম্য়াক্সওয়েল ২৪ রান করে আউট হন। ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আহমেদ। রাজস্থান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার ওবেদ ম্যাকওয়ে। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৩ উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ১টি করে উইকেট নেন বোল্ট ও অশ্বিন। চাহাল যদিও কোনও উইকেট পাননি।
এর আগে প্লে অফের প্রথম ম্যাচে রাজস্থান হেরে গিয়েছিল গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্য়াচ জিতে ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যর দল। অন্যদিকে প্রথম এলিমিনেটরে লখনউ সুপারজায়ান্টসকে হারিয়ে দিয়েছিল ফাফ ডু প্লেসির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর।