মুম্বই : শুরুটা করেছিলেন দেখে-শুনে, তারপর কার্যত জস-ঝড় উঠল ওয়াংখেড়েতে। ৬৫ বলে ৯ টি বাউন্ডারি ও সম সংখ্যক ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১১৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন জস বাটলার (Jos Butler)। এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত যা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও। পাশাপাশি ৭ ইনিংসে তিনটি শতরানের সুবাদে ৪৯১ রান করে ফেলে কমলা টুপির (Orange Cap) দৌড়ে বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়েও গেলেন ব্রিটিশ এই ব্যাটসম্যান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে জস জানালেন, 'ব্যাটিং উপভোগ করছি। আশা রাখছি ছন্দটা ধরে রেখে দলকে গোটা প্রতিযোগিতাতেই সাহায্য করতে পারব।'


বাটলারের ব্যাটিং তাণ্ডব


এবারের আইপিএলে এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) বিরুদ্ধে ১০৩  ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) ১০০ রানের হাঁকিয়েছিলেন জস। এদিন ফের আরও একটা শতরান হাঁকালেন তিনি। প্রসঙ্গত, আর একটা শতরান হাঁকালেই এক আইপিএলে সর্বোচ্চ শতরানের নজিরে যুগ্মভাবে বসে পড়বেন তিনি। ২০১৬-র আইপিএলে ৪টি শতরান হাঁকিয়েছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। একটি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ সংখ্যক শতরান।


ঋষভ-কা গুসসা


মাঠে কার্যত নাটক দেখা যায় খেলার একেবারে শেষে। শেষ ওভারের মাঝপথে দলকে ডাগআউটে ডেকে পাঠান ঋষভ পন্থ (Rishav Pant)। শেষমেশ দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) ব্যাটিং কোচ শেন ওয়াটসন তাঁকে করেন শান্ত। নো-বল চেয়ে দিল্লি শিবিরের জোরালো আবেদন ও আম্পায়ারিং নিয়ে যার জেরে তৈরি হল বিতর্ক। খেলার শেষে একরাশ বিরক্তি নিয়ে দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ বলেই দিলেন, নো-বলটা আমাদের পক্ষে গেলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত। দলকে ডাগআউটে ডেকে পাঠানো প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, বিরক্তি থেকে মুহূর্তের ভুল করে ফেলেছি। তবে আম্পায়ারিং ভাল হলে হয়তো এরকম পরিস্থিউ তৈরি হত না।


করোনার ধাক্কায় একদিকে যেখানে বিধ্বস্ত দিল্লি শিবির এই ম্যাচে হারল। তেমনই উল্টোদিকে টানা ম্যাচে জিতে ৭ ম্যাচে পঞ্চম জয় নিয়ে রান রেটের বিচারে লিগ তালিকার এক নম্বরে পৌঁছে গেল রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। ব্যাটার জসের পাশাপাশি দেবদত্ত পাড়িক্কাল, অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও বল হাতে প্রসিধ কৃষ্ণ ও দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও যুযবেন্দ্র চাহাল দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেন।


আরও পড়ুন- দ্য ফাইনাল ওভার... ফিট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, ঝলকে শেষ ওভারে মাহি-ম্যাজিক