পুণে: আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য তাঁকে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব 'হিটম্যান' বলে চেনে। ছন্দে থাকলে তিনি প্রতিপক্ষ বোলারদের উপহার দেন দুঃস্বপ্নের রাত। সেই রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) সতীর্থের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়ে পড়লেন। এতটাই যে, সটান মাঠে ঢুকে জড়িয়ে ধরলেন।
ঠিক কী হয়েছিল? মুম্বই ইনিংসের নবম ওভার। পাঞ্জাব কিংসের (PBKS) বিরুদ্ধে ১৯৯ রান তাড়া করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। কিন্তু শুরুতেই চাপে পড়ে যায় মুম্বই। পরপর ফিরে যান দুই ওপেনার। যখন মনে করা হচ্ছিল যে, ম্যাচে একপেশেভাবে দাপট দেখাবেন পাঞ্জাব বোলাররা, তখনই পাল্টা লড়াই শুরু ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও তিলক বর্মার।
দুজনই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন। তবে নবম ওভারে যা ঘটল, ভুলতে পারবেন না রাহুল চাহার। কারণ, তিনিই ওই ওভারে বল করছিলেন। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গলস নেন তিলক। পরের পাঁচ বলে একটি চার ও চারটি টানা ছক্কা মারেন ব্রেভিস। সব মিলিয়ে ওই ওভারে ওঠে ২৯ রান। ম্যাচের রং বদলে যায়।
ব্রেভিস উইকেটে সব দিকে শট খেলতে পারেন বলে তাঁকে এ বি ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে তুলনা করে অনেকে বেবি এবি বলছেন। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে মাঠে নেমে ব্রেভিসকে জড়িয়ে ধরেন রোহিত। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৪৯ রান করে আউট হন ব্রেভিস। এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর। ৫০ পূর্ণ করতে পারলে তিনিই হতেন আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে হাফসেঞ্চুরি করা বিদেশি ক্রিকেটার।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন পাঞ্জাব কিংসের দুই ওপেনার, ময়ঙ্ক অগ্রবাল ও শিখর ধবন। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করেন। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৫৭ বলে ৯৭ রান যোগ করেন দুজনে। ৩২ বলে ৫২ রান করে এম অশ্বিনের বলে আউট হন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক ময়ঙ্ক। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও জোড়া ছক্কা। জয়দেব উনাদকাটের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে কায়রন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৫০ বলে ৭০ রান করেন ধবন। বাঁহাতি ব্যাটারের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৩ ছক্কা।
শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন পাঞ্জাবের দুই ব্যাটার জিতেশ শর্মা ও শাহরুখ খান। ১৪ বলে ৩০ রান করেন জিতেশ। দু'টি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। ৬ বলে ১৫ রান করেন শাহরুখ। মুম্বই বোলারদের মধ্যে দুই উইকেট বেসিল থাম্পির। একটি করে উইকেট যশপ্রীত বুমরা, উনাদকাট ও এম অশ্বিনের।
সবাই এককাট্টা, এবিপি লাইভের প্রশ্নে গুজরাতের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন রশিদ