মুম্বই: ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে জয়। ২ ম্যাচে হার। রান রেট ভাল থাকায় এখনও পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগামী ম্যাচ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hayderabad) বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিন বোলিং তারকা বরুণ চক্রবর্তী। 


গত বছর ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী, এই বছর এখনও  নিষ্প্রভ


গত বছরও প্রথম লেগে আমার উইকেট সংখ্যা খুব একটা বেশি ছিল না। প্রথম ৭ ম্যাচে ৬-৭ উইকেটই নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে টুর্নামেন্টের পরের পর্বে আরও ভাল পারফর্ম করতে পেরেছিলাম। তার জন্যই কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার ছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় প্রত্যেক ব্যাটারই বোলারের বিরুদ্ধে প্ল্যান কষেই তারপর মাঠে নামে। আমি পিচ বা কোনও কিছু নিয়েই কথা বলব না। কিন্তু আমার নিজের বোলিংয়ে উন্নতি করতে হবে। যাতে ব্যাটারকে আউট করতে পারি, তার চেষ্টা করেই যেতে হবে ক্রমাগত। আমি এর আগেও ফ্ল্যাট উইকেট থেকে উইকেট পেয়েছি। তাই আমার কাছে এই ধরণের পিচে বোলিং করা কোনও সমস্যার না। 


জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার লড়াই


জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একটা সুস্থ স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা চলছে। চাহাল দারুণ বোলিং করছে। রবি বিষ্ণোই ধারাবাহিক ভাল খেলে যাচ্ছে। কুলদীপ ওর দলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করছে এবারের আইপিএলে। আমি যদিও বাড়তি চাপ নিচ্ছি না। সবাই নিজের নিজের মতাে করে পারফরম্যান্স  ভাল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। খুব ভাল লাগে যে লেগস্পিনাররা এত ভাল পারফর্ম করে যাচ্ছে।''


বোলিংয়ে কোনও পরিবর্তন


আমি নিজের বোলিংয়ে আলাদা কিছু বদল করিনি। নিজের ক্ষমতা, শক্তি সম্পর্কে আমি জানি। উল্টোদিকে কোন ব্যাটার আছে, কী তাঁর শক্তি তা নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি না আমি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে বছরের শেষে। অবশ্যই তা খেলতে চাই। তার জন্য়ই নিজের বোলিংয়ে আরও কিছু বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি।''


নারাইনের সঙ্গে পার্টনারশিপ


নারাইন ও বরুণের বোলিং কম্বিনেশন অনেক ব্যাটারকেই সমস্যায় ফেলেছে মিডল ওভারে। সেই ইস্যুতে তামিল এই স্পিনার বলেন, ''নারাইন আমার কাছে বড় ভাইয়ের মতো। ও নিজে অনেক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করে নিয়েছে। যা আমাদের বন্ডিং আরও শক্ত করেছে।"


প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ 


আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে ২০ ওভারের ম্য়াচে কোনও দলকেই হালকাভাবে নেওয়ার মানে হয় না। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রচুর তারকা ক্রিকেটার রয়েছে যাঁরা যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। দারুণ একটা দল। শেষ ম্যাচও জিতেছে। তাই ওদেরকে সমীহ করতেই হবে।