মুম্বই: কেকেআরের কাছে মরণবাঁচণ ম্যাচ। আইপিএল প্লে অফে ওঠার সামান্যতম আশা জিইয়ে রাখতে হলেও জিততেই হবে শ্রেয়স আইয়ারদের। আর সেই ম্যাচকেই কি না ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হিসাবে বেছে নিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি'কক ও কে এল রাহুল!


দুজনই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করলেন। কুইন্টন ৭০ বলে ১৪০ রানে অপরাজিত রইলেন। ৫১ বলে ৬৮ রানে ক্রিজে ছিলেন রাহুল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে লখনউ তুলল ২১০/০। আইপিএলের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। ম্যাচ জিততে কেকেআরকে তুলতে হবে ২১১ রান।


টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন রাহুল। কিছুটা ছক ভেঙেই। কারণ, চলতি আইপিএলে সব দলই শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে চাইছে। রাহুলের সিদ্ধান্ত যে সম্পূর্ণ সঠিক ছিল, লখনউ ইনিংসই যেন তার প্রমাণ।


চলতি আইপিএলে কে এল রাহুল ও কুইন্টন ডি'কক ছন্দে। কিন্তু সমস্যাটা তার পরেই। তিন থেকে ছয় নম্বরে এক ঝাঁক ক্রিকেটারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছে লখনউ। কিন্তু কেউই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। বুধবার অবশ্য আর কাউকে দরকারও হয়নি।


ডি'কক ১০টি চার ও ১০টি ছক্কা মেরেছেন। রাহুল মেরেছেন ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। তাঁরা সবচেয়ে বেশি নির্দয় ছিলেন আন্দ্রে রাসেলের ওপর। তাঁর ৩ ওভারে ৪৫ রান ওঠে। টিম সাউদির ৪ ওভারে ৫৭ রান তোলেন দুজনে। একমাত্র সুনীল নারাইন ৪ ওভারে ২৭ রান দেন।


পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে লখনউ। ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট রয়েছে কে এল রাহুলদের (KL Rahul) ঝুলিতে। বুধবার জিতলে যারা সরাসরি পৌঁছে যাবে প্লে অফে। কিন্তু কেকেআরের সামনে জটিল অঙ্ক। কারণ, নাইটদের শুধু জিতলেই হবে না। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলাফলের ওপরেও। আপাতত পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে রয়েছে কেকেআর। বুধবার জিতলে কেকেআরের পয়েন্ট হবে ১৪। শ্রেয়স আইয়ারদের পক্ষে ইতিবাচক হল, দলের নেট রান রেট। ১৩ ম্যাচের মধ্যে ৭টি হারলেও নাইটদের নেট রান রেট .১৬০। যে কারণে বুধবার জিতলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে সহজেই ছাপিয়ে যাবে কেকেআর। যদিও তাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা।