মুম্বই: আইপিএলে (IPL) পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। কিন্তু পনেরোতম আইপিএলে রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) দুঃসময় যেন কাটছে না। শনিবার আইপিএলে নবাগত দল লখনউ সুপারজায়ান্টসও (LSG) তাঁদের হারিয়ে দিল ১৮ রানে। টানা হাফ ডজন ম্যাচ হারল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। সেই সঙ্গে তাদের প্লে অফে ওঠার স্বপ্নও জোরাল ধাক্কা খেল। পয়েন্ট টেবিলে এখনও খাতা খুলতে পারেনি মুম্বই। অঙ্কের বিচারে প্লে অফের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে বাকি ৮ ম্যাচের অন্তত সাতটি জিততেই হবে রোহিতদের।


ব্যর্থ সূর্য-পোলার্ডদের লড়াই


প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছিলেন কে এল রাহুলরা। প্রথমে ব্যাট করে লখনউ নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১৯৯/৪। দুশো রান তাড়া করতে নেমে প্রবল লড়াই করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, কায়রন পোলার্ডরা। তাও মুম্বই ইনিংস আটকে যায় ১৮১/৯ স্কোরে। রোহিত শর্মা শুরুতেই ফিরলেও বেবি এবি নামে খ্যাত ব্রেভিস (১৩ বলে ৩১ রান), সূর্য (২৭ বলে ৩৭ রান), তিলক বর্মা (২৬ বলে ২৬ রান), পোলার্ড (১৪ বলে ২৫ রান) ও জয়দেব উনাদকট (৬ বলে ১৪ রান)-রা লড়াই করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। লখনউ বোলারদের মধ্যে আবেশ খান তিন উইকেট নেন। একটি করে উইকেট জেসন হোল্ডার, দুষ্মন্ত চামিরা, রবি বিষ্ণোই ও মার্কাস স্টোইনিসের।


রাহুলের রান-ফোয়ারা


ব্যাট হাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) বোলারদের সামনে যেন আতঙ্ক হয়ে উঠলেন কে এল রাহুল। ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন লখনউ অধিনায়ক। ৬০ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করলেন কে এল রাহুল। চলতি আইপিএলে এটা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। জস বাটলারের পর। শনিবার ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন। সঙ্গী কুইন্টন ডি'কক। গত আইপিএলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন ডি'কক। শনিবার পুরনো দলের বিরুদ্ধে ১৩ বলে ২৪ রান করেন। দুই ওপেনার ৫.৩ ওভারে ৫২ রান যোগ করেন। এরপর কুইন্টন ফিরলেও রাহুলের সঙ্গে যোগ দেন মণীশ পাণ্ডে। ২৯ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। তবে রাহুল শুরু থেকেই ছিলেন অদম্য। তাঁর ইনিংসে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা। শেষ দিকে ৮ বলে ১৫ রান করেন দীপক হুডাও।


শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং!


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। রোহিতও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই যেন ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াল।


মুম্বই বোলারদের মধ্যে একমাত্র যশপ্রীত বুমরা নজর কাড়েন। ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২৪ রান। বাকিদের কেউই দাগ কাটতে পারেননি। ৪ ওভারে ৩২ রানে ২ উইকেট জয়দেব উনাদকাটের। একটি করে উইকেট এম অশ্বিন ও ফাবিয়েন অ্যালেনের।