মুম্বই: বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২০১০ রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কে এল রাহুলের দল। শুরুটা করেছিলেন ডি কক (Quinton De Cock) ও রাহুল জুটি। শেষটা করলেন এভিন লুইস (Evin Lewis)। উনিশ তম ওভারে শিভম দুবেকে ২৫ রান দিয়ে ম্যাচে জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে নেন ক্যারিবিয়ান তারকা। 


রান তাড়া করে জয় লখনউয়ের


দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিশাল লক্ষ্যমাত্রার সামনে দুর্দান্ত শুরু করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। নতুন অধিনায়ক কে এল রাহুলের ব্যাটিং ও ওপেনিংয়ে তাঁর পার্টনার কুইন্টন ডি কক দারুণ শুরু করে। ৯৯ রান বোর্ডে তুলে প্রথম উইকেট হারায় লখনউ। কে এল রাহুল ফিরে যান। ৪০ রান করে। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ডি কক আগের ম্যাচে রান না পেলেও এদিন ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে। তবে খেলা একেবারে নিজেদের দখলে নিয়ে নেন এভিন লুইস। ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন লুইস। শিভম দুবেকে ১৯ তম ওভারে ২৫ রান তুলে খেলায় প্রায় যবনিকা টেনে দেন তিনি। 


প্রথমে বোলিং লখনউয়ের, ঝড় তুললেন উথাপ্পা


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লখনউ অধিনায়ক কে এল রাহুল। কিন্তু সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায় চেন্নাইয়ের ২ ওপেনার রবিন উথাপ্পার ঝােড়াে ব্যাটিংয়ে। রুতুরাজ গায়কোয়াড মাত্র ১ রান করে ফিরে গেলেও নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন উথাপ্পা। ২৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। প্রথম একাদশে ফিরেই ২২ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন মঈন আলি। আবেশ খানের বলে আউট হওয়ার আগে ৪টি বাউন্ডারি ও ২ টো ছক্কা হাঁকিয়ে যান তিনি। 


ফিনিশার ধোনি


এই কাজটির জন্যই গত দেড় দশক ধরে বিখ্যাত তিনি। এখন বয়স বেড়েছে। চল্লিশের বুড়ো হাড়েও যে জোর কমেনি তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২টো বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ১৬ রান করে সিএসকের ইনিংস দুশোর গণ্ডি পার করে দেন এমএসডি।