মুম্বই: প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) ৫২ রানে হারিয়ে সেই আশা বাঁচিয়ে রাখল শ্রেয়স আইয়ারের দল। জশপ্রীত বুমরার ৫ উইকেট, ঈশান কিষাণের অর্ধশতরান কোনও কিছুই বাঁচাতে পারল না রোহিত বাহিনীকে। বল হাতে প্যাট কামিন্স, আন্দ্রে রাসেল ও টিম সাউদির দুর্দান্ত বোলিং। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলে সাত নম্বরে উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স।


১১৩ রানে অল আউট মুম্বই ইন্ডিয়ান্স


জশপ্রীত বুমরা অর্ধেক কাজ করে দিয়েছিলেন। দুশোর কাছে পৌঁছোনোর নিশ্চিত রাস্তায় কাঁকড় বিছিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যার জন্য নাইট রাইডার্স ১৬৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ের শুরুটা যেমন দরকার ছিল, তেমন হল না। শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় মুম্বই। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মাত্র ২ রান করেই ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন রোহিত। এরপর একদিকে ঈশান কিষাণ টিকে থাকলেও অন্যদিকে ক্রমেই উইকেট হারাতে থাকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একা কুম্ভের মতো লড়াই করছিলেন ঈশান কিষাণ। তিনি ৪৩ বলে ৫১ রান করে কামিন্সের বলে আউট হন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটারই ভরসা জোগাতে পারেননি। ফর্মে থাকা তিলক ভার্মা ৬ ও ক্য়ারিবিয়ান পোলার্ড ১৫ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কেকেআরের হয়ে প্যাট কামিন্স সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ২ উইকেট নেন রাসেল। ১টি করে উইকেট নেন সাউদি ও বরুণ চক্রবর্তী। 


আইপিএল কেরিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট বুমরার


টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার কলকাতার রানের গতি ছিল প্রতি ওভারে আটের ওপরে। নাইট একাদশে বদল হয়েছিল এদিন। ফিরেছিলেন রাহানে, ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ষষ্ঠ ওভারে বোর্ডে ৬০ রান তোলার পর প্রথম উইকেটের পতন হয় কলকাতার। কার্তিকেয়ার বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভেঙ্কটেশ। ২৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে চারটে ছক্কা ও ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। রাহানে ২৪ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনই। শ্রেয়স আইয়ার ৬ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। তখন পর্যন্তও মনে হচ্ছিল যে দুশোর কাছাকাছি পৌঁছে যাবে নাইটরা। কিন্তু রাসেল ক্রিজে আসতেই বুমরাকে আক্রমণে নিয়ে আসেন রোহিত। অধিনায়কের আস্থার প্রতি অমর্যাদা করেননি তারকা পেসার। বুমরার বলেই ৯ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাসেল। এরপর একে একে ফিরিয়ে দেন রানা, জ্যাকসন, কামিন্স ও নারিনকে। আঠারোতম ওভারে কোনও রান না দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারের স্পেলে ১টি মেডেন দিয়ে ১০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন বুমরা।