মুম্বই: আইপিএল (IPL) চলছে। তিনি আবার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) মেন্টর। এখন তুমুল ব্যস্ততা। স্ট্র্যাটেজি তৈরি থেকে শুরু করে ব্যাটারদের কোথায় ভুল ত্রুটি হচ্ছে দেখিয়ে দেওয়া, গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে।
তারই ফাঁকে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) দেখা মিলল মুম্বইয়ের লোকাল বাসে। সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরালও হল।
ছোটবেলার স্মৃতি
মুম্বইয়ের শিবাজি পার্ক। যে মাঠ জড়িয়ে রয়েছে সচিনের উত্থানের পিছনেও। বান্দ্রার সাহিত্য সহবাস থেকে রোজ লোকাল ট্রেনে ও বাসে চেপে শিবাজি পার্কে আসত খুদে। অনেকেই যাঁকে ক্রিকেটের বিস্ময় বালক বলে চিহ্নিত করে ফেলেছিলেন ততদিনে। তারপর শিবাজি পার্কে কোচ রমাকান্ত আচরেকরের তত্ত্বাবধানে চলত প্রস্তুতি। উইকেটের ওপর একটা কয়েন সাজিয়ে দিতেন কোচ। ব্যাটারকে ডেকে বলতেন, যদি কোনও বোলার তাঁকে আউট করতে না পারেন, তবে এই কয়েন পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে। সচিনও বদ্ধপরিকর। কিছুতেই আউট হবেন না। শেষ পর্যন্ত কয়েন নিয়ে বাড়ি ফিরতেন।
সোমবার সেই শিবাজি পার্কেই ফিরেছিলেন সচিন। সেখানে একটি লোকাল বাসে উঠে বসেছিলেন। সেই ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়। সচিন ক্যাপশনে লেখেন, 'ছোটবেলা ফিরে দেখা'।
পন্থের স্মৃতিচারণা
আইপিএলে (IPL) তাঁর নেতৃত্বে খেলছে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)। তবে টুর্নামেন্ট চলাকালীনই ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) তাঁর প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন।
ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগময় পোস্ট লিখলেন পন্থ। আইপিএল ২০২২ চলাকালীন আবেগে ভাসলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ও টিম ইন্ডিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ। তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে। বাবা রাজেন্দ্র পন্থকে স্মরণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জানালেন পন্থ। তাঁর কেরিয়ারকে এই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ঋষভের বাবা এবং পন্থের প্রয়াত কোচ তারক সিনহা। ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে তারক সিনহা গত বছর মারা গিয়েছেন। আর ২০১৭ সালে বাবাকে হারিয়েছিলেন পন্থ।
বাবার উদ্দেশে পন্থ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি যা ছিলাম সেভাবেই তিনি আমাকে খুব ভালবাসতেন। আমি যা হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম তার জন্য তিনি আমাকে গ্রহণ করেছিলেন। তাই বাবা শক্তিশালী। তাঁর শক্তি আমাদের নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়। এখন যেহেতু বাবা আপনি স্বর্গে আছেন, আমি জানি আপনি আমাকে রক্ষা করবেন। আমার বাবা হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যতক্ষণ না আমরা আবার দেখা করি, আমি সর্বদা আপনাকে ভালোবাসব এবং আপনার অভাব টের পাব।’