মুম্বই: প্রথম ম্যাচেই আভাস দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও জ্বলে উঠলেন। ওয়াংখেড়ের পিচে আগুনে বোলিং উমেশ যাদবের (Umesh Yadav)। মূলত তাঁর দুরন্ত বোলিংয়েই পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরল। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর সিদ্ধান্তকে বুমেরাং হতে দিলেন না কলকাতার তারকা পেসার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন টিম সাউদি, সুনীল নারাইনরা। 


পাঞ্জাবের ব্যাটিং


ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন শিখর ধবন ও ময়ঙ্ক অগ্রবাল। কিন্তু প্রথম ওভারেই মাত্র ১ রান করেই আউট হলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। এরপর থেকে পরপর উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। শিখর ধবন ১৬ রান করে টিম সাউদির বলে বিলিংসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তিন নম্বরে নেমে ৯ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেন শিভম মাভি। লিভিংস্টোন ১৯ রান করে, ফিরে যান। নারিন ফিরিয়ে দেন রাজ বাওয়াকে। আগের ম্যাচে ব্যাটে ঝড় তোলা শাহরুখ খান খাতা খোলার আগেই টিম সাউদির বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারে মাত্র ১৩৭ রানে অল আউট হয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস।


উমেশের ৪ উইকেট


শুক্রবার ৪ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন উমেশ। এই নিয়ে পঞ্জাবের দলের বিরুদ্ধে মোট ৯ বার ৩ বা তার বেশি উইকেট নিলেন কলকাতার তারকা পেসার। এমন রেকর্ড আর কোনও বোলারের নেই। কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অন্য বোলারদের ৩ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ৫ বারের বেশি নেই। ময়ঙ্ক, লিভিংস্টোন ছাড়াও হরপ্রীত ও রাহুল চাহারের উইকেট তুলে নেন উমেশ যাদব।


আইপিএলে (IPL) এখনও পর্যন্ত মোট ২৯ বার দেখা হয়েছে দুই দলের। তার মধ্যে কেকেআর জিতেছে ১৯টি ম্যাচে। ১০টি ম্যাচ জিতেছে পাঞ্জাব। দুই দলের ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোর হয়েছে ২৪৫। করেছিল কেকেআর। নাইটদের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের সর্বোচ্চ স্কোর ২১৪। অন্যদিকে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে কেকেআরের সর্বনিম্ন স্কোর ১০৯। পাঞ্জাবের সর্বনিম্ন স্কোর ১১৯।