পুণে: টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউ হয়তো বিশ্বাসই করতে চাইতেন না। কিন্তু কার্যত অসম্ভবই যেন সম্ভব হয়ে উঠছে এবারের আইপিএলে (IPL)। টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। যারা আইপিএলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। পাঞ্জাব কিংস তাদের হারিয়ে দিল ১২ রানে। পাঞ্জাবের ১৯৮/৫ স্কোর তাড়া করতে নেমে ১৮৬/৯ স্কোরে আটকে গেল মুম্বই। এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল পাঞ্জাব। অন্যদিকে মুম্বই এখনও পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। প্লে অফে যাওয়ার সামান্যতম আশাও বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাকি ৯ ম্যাচের আটটি জিততেই হবে মুম্বইকে। যা কার্যত অসম্ভব।


বুধবার টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। রোহিতও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি।


তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন পাঞ্জাব কিংসের দুই ওপেনার, ময়ঙ্ক অগ্রবাল ও শিখর ধবন। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করেন। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৫৭ বলে ৯৭ রান যোগ করেন দুজনে। ৩২ বলে ৫২ রান করে এম অশ্বিনের বলে আউট হন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক ময়ঙ্ক। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও জোড়া ছক্কা। জয়দেব উনাদকাটের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে কায়রন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৫০ বলে ৭০ রান করেন ধবন। বাঁহাতি ব্যাটারের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৩ ছক্কা।


শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন পাঞ্জাবের দুই ব্যাটার জিতেশ শর্মা ও শাহরুখ খান। ১৪ বলে ৩০ রান করেন জিতেশ। দু'টি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। ৬ বলে ১৫ রান করেন শাহরুখ। মুম্বই বোলারদের মধ্যে দুই উইকেট বেসিল থাম্পির। একটি করে উইকেট যশপ্রীত বুমরা, উনাদকাট ও এম অশ্বিনের।


জবাবে রোহিত ১৭ বলে ২৮ রান করেন। রান পাননি ঈশান কিষাণ। ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৪৯), তিলক বর্মা (৩৬) ও সূর্যকুমার যাদব (৪৩) রান পেলেও শেষরক্ষা হয়নি। ৪ উইকেট নিয়েছেন ওডিয়েন স্মিথ। জোড়া উইকেট কাগিসো রাবাডার।


আরও পড়ুন: সবাই এককাট্টা, এবিপি লাইভের প্রশ্নে গুজরাতের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন রশিদ