মুম্বই: প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত পাঞ্জাব কিংসকে (Punjab Kings)। কারণ দৌড়ে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) ও দিল্লি ক্যাপিটালসও (Delhi Capitals)। আবার উঠে আসছে চেন্নাই সুপার কিংসও। তাই রান রেট ভাল রেখে জেতাটাই লক্ষ্য ছিল ময়ঙ্কের (Mayank Agarwal) দলের। ঠিক সেটাই করল তারা। প্রথমে বল হাতে রাবাডা ও পরে ব্যাট হাতে ধবন-রাজাপক্ষের পার্টনারশিপে জয় নিশ্চিত করে পাঞ্জাব। লোয়ার অর্ডারে এসে ক্যামিও ইনিংস লিভিংস্টোনের। কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে ৪ ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেট ম্যাচ জিতে নিল পাঞ্জাব। পয়েন্ট টেবিলেও প্রথম পাঁচে উঠে এল তারা।
ধবনের অর্ধশতরান, অনবদ্য রাজাপক্ষে, ক্যামিও লিভিংস্টোনের
অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা। এদিন ওপেনে একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিল পাঞ্জাব থিঙ্কট্যাঙ্ক। শিখর ধবনের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এদিন নেমেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু পরীক্ষাটি কাজে এল না। বেয়ারস্টো শামির বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন মাত্র ১ রান করে। তবে তৃতীয় উইকেটে রাজাপক্ষেকে সঙ্গে নিয়ে ধবন দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এদিনও শুরুতে স্লথ খেললেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে আসেন ধবন। শেষ পর্যন্ত ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৩ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন ধবন। ২৮ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন রাজাপক্ষে। তবে তাঁকে ফিরিয়ে দেন লকি ফার্গুসন। তবে ব্যাট হাতে নেমেই শামির এক ওভারে ২৮ রান তুলে পাঞ্জাবকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১০ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলেন লিভিংস্টোন।
ম্যাচের সেরা রাবাডার ৪ উইকেট
গুজরাত টাইটান্স প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল। ওপেনে ঋদ্ধিমান ও শুভমন গিল নেমেছিলেন এদিন। গিল এদিনও রান পেলেন না। ভাগ্য সহায় হল না তরুণ ওপেনারের। রান আউট হয়ে ফিরলেন ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। যদিও ঋদ্ধি ছিলেন মারমুখি মেজাজে। রাবাডার দ্বিতীয় ওভারে পরপর ২ টো বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু প্রোটিয়া পেসারের বলেই ময়ঙ্ক অগ্রবালের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যও মাত্র ১ রান করে ঋষি ধবনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন। মিডল অর্ডারে মিলার, তেওয়াটিয়া ও রশিদ খান পরপর ফিরে গেলেন। তবে এদিন ৫০ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন সাই সুদর্শন।