মুম্বই: রসিদ খানের বলে স্ট্যাম্প আউট হয়ে যখন ফিরছেন, তখনও গোটা গ্যালারি তাঁকে সম্ভাসন জানাচ্ছে। আর তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে। চোখেমুখে তৃপ্তি। গত কয়েক মাস ধরে যে রানের খরা চলছিল, তা দূর হয়েছে এদিন। শুধু ব্যাট হাতে রানই পেলেন না, দুরন্ত অর্ধশতরান করে দলকেও প্লে অফের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখলেন। বিরাট কোহলি এদিন হয়ে উঠলেন ফের কিং কোহলি। তাঁর ব্য়াটিং তাণ্ডবেই গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়ে প্লে অফের দৌড়ে এখনও রয়ে গেল আরসিবি।


বিরাটের দুরন্ত ৭৩, ৮ উইকেটে জয় আরসিবির


১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন ২ আরসিবি ওপেনার বিরাট ও ফাফ। রান রেট মাইনাসে। তাই যত দ্রুত সম্ভব রান তুলে ম্যাচ শেষ করাই লক্ষ্য ছিল। তাতে রান রেট কিছুটা যদি ভাল করা যায়। এই পরিস্থিতিতে অফফর্মের বিরাটের ব্যাটে রান পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর প্রয়োজনের সময়ই জ্বলে উঠল কিং কোহলির ব্যাট। রানের খরা কাটিয়ে ৫৪ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন বিরাট। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ফাফ ডু প্লেসিও। রশিদ খানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতরান পূরণ করেছিলেন বিরাট। যদিও রশিদের বলেই স্ট্যাম্প আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। ম্যাক্সওয়েল ৫টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকিয়ে ১৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় আরসিবি।


হার্দিকের অর্ধশতরান, গুজরাতের ১৬৮/৫


এর আগে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ঋদ্ধিমান ও তাঁর সঙ্গী শুভমন গিল। চলতি আইপিএলে বাংলার পাপালি যতটা ফর্মে রয়েছেন, তার ঠিক উল্টো ফর্মে গিল। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ৪ বলে মাত্র ১ রান করে হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গেলেন। তবে শুরু থেকেই মারমুখি মেজাজে ব্যাট করছিলেন ঋদ্ধি। তবে ২২ বলে ৩১ রান করে হার্দিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফির যান বাংলার তারকা উইকেট কিপার ব্যাটার। এরপর মিলারকে নিয়ে ও পরে রশিদ খানকে নিয়ে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন হার্দিক। মিলার ৩টি ছক্কার সাহায্য়ে ২৫ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। তবে থামানো যায়নি হার্দিককে। ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। রশিদ খান ৬ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।