মুম্বই: টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কেমন হওয়া উচিত, তা যেন দেখিয়ে দিয়ে গেল সোমবার রাতে ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ (KKR vs RR)। বারবার পেন্ডুলামের মতো ম্যাচের রাশ কখনও কেকেআরের দিকে তো কখনও রাজস্থানের দিকে দুলছিল। শেষ হাসি অবশ্য হাসলেন সঞ্জু স্যামসনরা। নাইটদের ৭ রানে হারিয়ে দিল রাজস্থান। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট-সহ টেবিলের দু'নম্বরে উঠে এলেন স্যামসনরা।


চাহালের ম্যাজিক ওভার


রাজস্থান রয়্যালসের ২১৭/৫ তাড়়া করতে নেমে কেকেআর তখনও বেশ ভালরকম ম্যাচে রয়েছে। ১৩তম ওভারের শেষ বলে নীতিশ রানাকে ফিরিয়েছিলেন চাহাল। ফের কেকেআর ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে আসেন লেগস্পিনার। ৪ ওভারে তখন ম্যাচ জিততে ৪০ রান দরকার কেকেআরের। ক্রিজে দুরন্ত ছন্দে থাকা শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম বলেই বেঙ্কটেশ আইয়ারকে ফেরান চাহাল। তবে শেলডন জ্যাকসন হ্যাটট্রিক রুখে দেন। তখন কে-ই বা জানত যে, আরও বড় নাটক অপেক্ষা করে রয়েছে ওই ওভারেই।


ওই ওভারের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তিনি ফিরিয়ে দেন শ্রেয়স আইয়ার, শিবম মাভি ও প্যাট কামিন্সকে। ১৭৮/৪ থেকে ১৮০/৮ হয়ে যায় কেকেআর।


উমেশের লড়াই


নয় নম্বরে ব্য়াট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন উমেশ যাদব। ট্রেন্ট বোল্টের একও ওবারে ২০ রান নেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ৯ বলে ২১ রান যোগ করেন উমেশ। ২ বল বাকি থাকতে ২১০ রানে অল আউট হয়ে যায় কেকেআর। ৪ ওভারে ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন চাহাল।


বাটলারের দাপট


চলতি আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করে ফেললেন ইংরেজ তারকা। প্যাট কামিন্সকে ৬ মেরে মাত্র ৫৯ বলে সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করলেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১০৩ রান করে ফিরলেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালস তুলল ২১৭/৫। ম্যাচ জেতার জন্য কেকেআরকে করতে হবে ২১৮ রান।


শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন বাটলার। ওপেনিং জুটিতে তিনি ও দেবদত্ত পড়িক্কল মিলে মাত্র ৯.৪ ওভারে ৯৭ রান যোগ করেন। ১৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন দেবদত্ত। তখনই বোঝা গিয়েছিল যে, বড় স্কোর তুলতে চলেছে রাজস্থান।


দলের ভিতটা ভাল হওয়ার পর সঞ্জু স্যামসন হোক বা শিমরন হেটমায়ার, কেকেআর বোলারদের কেউই রেয়াত করেননি। ১৯০ বলে ৩৮ রান করেন স্যামসন। ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন হেটমায়ার।


কেকেআর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছেন প্যাট কামিন্স। ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন তিনি। সুনীল নারাইন ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।