আমদাবাদ: মঞ্চ ছিল। গ্যালারির সমর্থন ছিল ভরপুর। চারিদিকে বিরাট বিরাট শব্দব্রহ্ম। কিন্তু কোনও কিছুই কাজে এল না। তার একমাত্র কারণ জস বাটলার। এবারের আইপিএলে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাজস্থানকে ফাইনালে তুলে দিলেন ইংল্যান্ডের তারকা ওপেনার। প্রথমে বল হাতে রাজস্থান বোলারদের আঁটসাঁট বোলিং ও পরে ব্যাট হাতে জস বাটলারের ব্যাটিং তাণ্ডব। ২০০৮ সালের পর ফের একবার আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল রাজস্থান রয়্যালস। 


৭ উইকেটে দুরন্ত জয় রাজস্থানের


লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৫৮। বোলাররা তাঁদের কাজ করে রেখেছিলেন দারুণভাবে। বাকিটা দরকার ছিল ব্যাটারদের জ্বলে ওঠার। আর সেই কাজটা প্রায় একাই করে ফেললেন জস বাটলার। আইপিএলের শুরু থেকেই একের পর এক মারকাটারি ইনিংস। তিন তিনটে সেঞ্চুরি আগেই করে রেখেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে তাঁর ব্য়াট হঠাৎ করেই কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। সমর্থক, অনুরাগীরাও হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ঠিক তেমনই হল। এদিন ১০টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার। যশস্বী জয়সওয়াল ২১ ও সঞ্জু স্যামসন ২৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ৩ উিকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রাজস্থান। হর্ষল পটেলকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালে তোলেন বাটলার।


বাটলারের চতুর্থ শতরান


২০১৬ সালে কেরিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলেন বিরাট কোহলি। সেবার আরসিবির জার্সিতে ৪টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক। একইসঙ্গে সেবার এক মরসুমে ৯৭৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিলেন কোহলি। এর মরসুমে সর্বাধিক রান করার তালিকায় বিরাটই এখনও পর্যন্ত শীর্ষে আছেন। কিন্তু এক মরসুমে সর্বাধিক সেঞ্চুরি করার তালিকায় বিরাটের সঙ্গে একই সারিতে জায়গা করে নিলেন বাটলার। ২ জনেই চারটে করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। বাটলার এর আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।