কলকাতা: আইপিএলের (IPL) প্লে অফ খেলতে কলকাতায় পৌঁছে গেলেন কিংগ কোহলি। আর শহরে পা রেখেই নিলেন শপথ। অধরা আইপিএল ট্রফি জেতার। যা তাঁর অধরা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শিবিরও যে ট্রফির স্বাদ পায়নি।


কলকাতায় টিমহোটেলে পৌঁছেই বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সতীর্থদের বলে দিলেন, অন্য দলের জন্য প্লে অফের যোগ্য়তা পাওয়া গিয়েছে। তবে প্লে অফে নিজেদের ম্যাচ জিততে হবে। তারপর জিততে হবে ফাইনালও।


ইডেনে মমতা


কাল ইডেনে শুরু আইপিএলের প্লে অফ। প্রথম ম্যাচে গুজরাত টাইটান্সের সামনে রাজস্থান রয়্যালস। আগামী বুধবার প্রথম এলিমিনেটরে আমনে সামনে আরসিবি ও লখনউ সুপারজায়ান্টস। আর এই দুটো ম্যাচে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হল সিএবির তরফে। পাল্টা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন মমতা। 


হোমগ্রাউন্ড মোতেরা


জাতীয় টেস্ট দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন। সেই হতাশায় রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। তবে আইপিএলে (IPL) নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করেছেন বঙ্গ উইকেটকিপার। যদিও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। তাঁকে না জানিয়েই রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন ঋদ্ধিমান। সিএবি-র এক কর্তা তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অপমানিত ঋদ্ধিমান বাংলা ছাড়ার কথাও বলে বসেন।


বিতর্কের আঁচ নেভার আগেই ইডেন গার্ডেন্সে নামছেন ঋদ্ধিমান। তবে বাংলার জার্সিতে নয়। গুজরাত টাইটান্সের হয়ে। আইপিএলের প্লে অফে খেলবেন রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। তার আগে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন ঋদ্ধিমান। জানিয়ে দিলেন, ইডেন নয়, তাঁর হোমগ্রাউন্ড এখন মোতেরা।


শামির অস্ত্র


টুর্নামেন্টে তাবড় বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন তিনি। ১৪ ম্য়াচে ৬২৯ রান। স্ট্রাইক রেট দেড়শো ছুঁই ছুঁই। তিন-তিনটে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে অরেঞ্জ ক্যাপের লড়াই কখনও এতটা একপেশে হয়ে যায়নি। আর সেই দুরন্ত জস বাটলারকে থামাতে মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) দাওয়াই নাকি নিশ্চিন্তে, টানা ঘুম!


বাটলার যতই সংহারক মূর্তিতে ব্যাট করুন না কেন, গুরুত্ব দিতে নারাজ বাংলার পেসার। বরং বেশ হাল্কা মেজাজেই তিনি বলে দিচ্ছেন, সোমবার রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে চান। বাটলারকে থামাতে কী পরিকল্পনা? মঙ্গলবার ইডেনে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি গুজরাত টাইটান্স ও রাজস্থান রয়্যালস। তার আগের দিন শামি বললেন, 'বাটলারকে আউট করার জন্য আমার ভাল ঘুম দরকার।' তারপরই শামি হেসে যোগ করলেন, 'কে কত রান পেয়েছে সেটা ভেবে বল করতে যাই না। নিজের দক্ষতার উপরে আস্থা রয়েছে। আমি দেখি না বিপক্ষে কে ব্যাট করছে।'


ভিডিও কলে শুভেচ্ছা


এরকম অভিজ্ঞতা তাঁরও বড় একটা হয়নি। তিনি কলকাতায়। অথচ হাজির থাকতে পারছেন না মেয়ের জন্মদিনে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে পরিবারের সকলের সঙ্গে কেক কাটছে মেয়ে। আর তিনি ব্যস্ত আইপিএল (IPL) গ্রহে। সন্ধ্যায় যখন বাড়িভর্তি অতিথি, ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) তখন ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) নেটে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছেন।


মেয়ে আনভির জন্মদিনে কী উপহার পাঠালেন? সোমবার দুপুরে এবিপি লাইভের প্রশ্নে ঋদ্ধিমান জবাব দেওয়ার আগেই টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে জুম কল ডিসকানেক্ট হয়ে গেল। পরে হোয়াটসঅ্যাপেই চলল কথোপকথন। এবিপি লাইভকে বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার বললেন, 'জৈব সুরক্ষা বলয়ে রয়েছি। এখান থেকে আর কী উপহার পাঠাব। আনভিকে রবিবার রাত ঠিক ১২টায় ভিডিও কল করেছিলাম। তখনই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি।'


কী বলছেন সৌরভ?


চলতি আইপিএলে (IPL) তাঁর পরিসংখ্যান দেখলে যে কেউ তারিফ করবে। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) প্রথম একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না। পরে তাঁকে খেলায় গুজরাত। ৯ ম্যাচে ৩১২ রান করে সেই আস্থার মর্যাদা দিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। রানের নিরিখে বিরাট কোহলি (১৪ ম্যাচে ৩০৯), রোহিত শর্মার (১৪ ম্যাচে ২৬৮) চেয়েও এগিয়ে।


তারপরেও ভারতের টেস্ট দলে সেই ব্রাত্যই থাকলেন বাঙালি উইকেটকিপার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক টেস্টের দলে ঋদ্ধিমানকে উপেক্ষা করে কে এস ভরতকে রেখেছেন নির্বাচকেরা। সেই ভরত, যিনি চলতি আইপিএলে মাত্র ২ ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৮ রান। রবিবার দল নির্বাচনের পরই ফের ভারতীয় ক্রিকেটে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।


পারফর্ম করেও কেন বাদ পড়লেন ঋদ্ধিমান? সোমবার ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) ক্লাব হাউসের দোতলায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) অবশ্য বিতর্কে ঢুকতে চাইলেন না। বরং তিনি বল ঠেলে দিলেন নির্বাচকদের কোর্টে। বললেন, 'এটা নির্বাচকদের ব্যাপার।' পাশাপাশি সৌরভকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল দীনেশ কার্তিকের জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন নিয়েও। সেই প্রসঙ্গেও ঢুকতে চাননি তিনি। সৌরভ বলেন, 'নির্বাচকদের বিষয়।'


আরও পড়ুন: