পুণে: কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে উমরান মালিক জানিয়েছিলেন যে তাঁর লক্ষ্য ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বল করা। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেই লক্ষ্যপূরণ না হলেও এবারের আইপিএলের দ্রুত গতির বলটি করে ফেললেন জম্মু কাশ্মীরের এই তরুণ পেসার। ১৫৪ কিলোমিটার গতিতে বল করলেন তিনি। তাও একবার নয়। একই ম্যাচে দু-দুবার। মরসুমের দ্রুত গতির বল করার তালিকায় সিংহভাগই উমরানের নাম। কিন্তু তালিকায় শীর্ষে ছিলেন লকি ফার্গুসন। সিএসকে ম্যাচের পর তাঁকেও টপকে গেলেন উমরান। 


২ বার ১৫৪ কিমি গতিতে বল


এদিন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের সময় ১০ তম ওভারে একবার ১৫৪ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করেন। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন রুতুরাজ ও কনওয়ে। এরপর ১৯ তম ওভারে আরও একবার ১৫৪ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেন। সেই বলটি তিনি করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ম্যাচে যদিও ৪ ওভার বল করে ৪৮ রান দিলেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি উমরান। তাঁর এবারের মরসুমে সেরা পারফরম্যান্স গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। 


১৮৯-তে আটকে গেল সানরাইজার্স


দুশোর ওপর রানের লক্ষ্যমাত্রা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২ ওপেনার অভিষেক শর্মা ও কেন উইলিয়ামসন শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিলেন। বিশেষ করে অভিষেক ছিলেন মারমুখি মেজাজে। অভিষেক শর্মা ২৪ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। পরের বলেই রাহুল ত্রিপাঠীর খাতা খোলার আগেই ফিরে যান। পরপর ২ বলে ২ উইকেট তুলে নেন মুকেশ চৌধুরী। এরপর মার্করমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কেন উইলিয়াসন। চেষ্টা করেছিলেন বৈতরণী পার করার। কিন্তু পারলেন না। ৪৭ রান করে ফিরতে হয় তাঁকেও। নিকোলাস পুরান চালিয়ে খেলছিলেন লোয়ার অর্ডারে নেমে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রান। কিন্তু পুরান ২৪ রানই তুলতে পারেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানই বোর্ডে তুলতে পারে হায়দরাবাদ।