মুম্বই: একটি নো বল। আর তা নিয়েই শনিবারের আইপিএলে (IPL) ধুন্ধুমার।
ক্রিজের বাইরে পা পড়েনি বোলারের। কোমরের উচ্চতার উপরেও বল হয়নি। তা সত্ত্বেও শনিবার আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শাহবাজ আহমেদের বলকে নো ডাকা হল। তারপরই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিলেন বিরাট কোহলি।
কী হয়েছিল ?
শনিবার গুজরাতের বিরুদ্ধে নবম ওভারে বল করতে আসেন আরসিবির শাহবাজ। চতুর্থ বলটা অফস্টাম্পের বাইরে শর্ট করেন। কাট করতে যান শুভমন গিল। তাতে অবশ্য সাফল্য পাননি। বরং তাঁর বিরুদ্ধে জোরালো কট বিহাউন্ডের আবেদন করেন। আউট দেন মাঠের আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা। সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নেন গিল। রিভিউয়ে দেখা যায়, ব্যাটে বল লাগেনি। তাই অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটা ধরার সময় স্টাম্পের সামনে চলে এসেছিল উইকেটকিপার অনুজ রাওয়াতের গ্লাভস। নিয়ম অনুযায়ী, সেই কারণে নো বল ঘোষণা করেন আম্পায়ার। তা নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু আলোচনা করতেও দেখা যায় কোহলিকে। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন।
বিরাট কোহলি (Virat Kohli)-রজত পাতিদারের (Rajat Patidar) হাফসেঞ্চুরির সুবাদে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) প্রথমে ব্যাট করে ১৭০/৬ তোলার পর মনে করা হয়েছিল যে, গুজরাত টাইটান্সকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে।
একপেশে জয়
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যত একপেশেভাবে ম্যাচ জিতে নিল গুজরাত। তিন বল বাকি থাকতে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। ৯ ম্যাচের শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে গুজরাত। প্লে অফের যোগ্যতা কার্যত পেয়েই গিয়েছে তারা।
রান তাড়া করতে নেমে ফের গুজরাতের হয়ে ছন্দে ঋদ্ধিমান সাহা। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ২২ বলে ২৯ রান করলেন তিনি। চারটি বাউন্ডারি মেরেছেন বঙ্গ তারকা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন শুভমন গিল। ২৮ বলে ৩১ রান করেন তিনি। দুই ওপেনার মিলে ৭.৩ ওভারে ৫১ রান যোগ করেন। শুভমনকে ফেরান শাহবাজ আমেদ। হার্দিক পাণ্ড্যর উইকেটও তুলে নেন তিনি। বাংলার স্পিনারের দাপটে এক সময় ৯৫/৪ হয়ে গিয়েছিল গুজরাত। সেখান থেকে ম্যাচের রাশ ফের নিজেদের হাতে তুলে নেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া। ২৪ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মিলার। ২৫ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রাহুল। তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি।
এমসিসি নিয়মের ২৭.৩.১ এবং ২৭.৩.২ ধারা অনুযায়ী, স্টাম্প পার করার আগে কোনও উইকেটকিপার বল ধরতে পারবেন না। যদি সেটা করেন উইকেটকিপার, তাহলে নো বল ডাকা হবে। ঠিক সেটাই করেছেন আম্পায়ার। নিয়মের দিক থেকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সঠিক বলেই মনে করা হচ্ছে।