মুম্বই: আইপিএলের (IPL) প্রথম ম্য়াচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে অভিযান শুরু করেছে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। সেই ম্যাচে দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মঈন আলিকে (Moeen Ali) পায়নি সিএসকে। গতবার চেন্নাইকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করার নেপথ্যে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল মঈনের। ইংরেজ তারকা ব্যাটে তো বটেই, বল হাতেও অবদান রেখেছিলেন ধারাবাহিকভাবে।
প্র্যাক্টিসে ছন্দে
বৃহস্পতিবার কে এল রাহুলের লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে নামছেন রবীন্দ্র জাডেজারা। সেই ম্যাচের আগে স্বস্তি ফিরল চেন্নাই শিবিরে। কারণ, কোয়ারেন্টিন পর্ব মিটিয়ে প্র্যাক্টিসে নেমে পড়লেন মঈন। নেটে তাঁকে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা গিয়েছে। বড় শট খেলেছেন। যা দেখে উচ্ছ্বসিত চেন্নাইয়ের ভক্তরা।
স্যামসনকে নিয়ে শাস্ত্রীর বার্তা
এর আগেও আইপিএলে বড় ইনিংস খেলেছেন। ঝড় তুুলেছেন আইপিএলের মঞ্চে। মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আরও একবার সেই ছন্দে দেখা গিয়েছে কেরলের উইকেটকিপার ব্য়াটার সঞ্জু স্যামসনকে। আর সঞ্জুর ব্যাটিংয়ে মজে রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। আইপিএলে ফের কমেন্ট্রি বক্সে ফিরেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ। কেন উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে ২৭ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন সঞ্জু। নিজের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান সঞ্জু।
রবি শাস্ত্রী কমেন্ট্রি করার সময় সঞ্জুকে নিয়ে বলেন, 'যখনই ব্যাটিংয়ে নামে সঞ্জু স্যামসন দুর্দান্ত ব্য়াট করে। আমার মনে হয় সবসময়ই ওর শট নির্বাচন দুর্দান্ত হয়। উইকেটে কতটা পেস রয়েছে। কতটা স্যুইং হবে। পিচের আচরণ সম্পর্কে ভীষণভাবে ওয়াকিবহাল। সোজা ব্য়াটে খেলেছে। বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে। আমার মনে হয় বোলারের পেস এত সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারে ও, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও মাঠের বাইরে বল ফেলার ক্ষমতা রাখে।'
শাস্ত্রী আরও বলেন, 'পুণেতে এর আগেও দারুণ খেলেছে সঞ্জু। শতরানও হাঁকিয়েছে। আমার মনে হয় ও যদি আর পাঁচ ওভার ক্রিজে থাকতে পারত, তবে রাজস্থানের স্কোর ২৩০ পার হয়ে যেত। আগ্রাসন দেখিয়েছে সঞ্জু, যা ভীষণভাবে ইতিবাচক দিক। এছাড়াও দেবদত্তের সঙ্গে পার্টনারশিপটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'
দাপুটে জয়
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (Sunrisers hydrabad) ৬১ রানে দুরমুশ করে অভিযান শুরু করেছে রাজস্থান রয়্যালস (rajasthan royals)। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সঞ্জু স্যামসন (sanju sdamson), দেবদত্ত পাড়িক্কলদের (devdutta padikkal) দাপটে ২১০ রান তোলে রাজস্থান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস। রাজস্থানের বোলারদের দাপটে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েন কেন উইলিয়ামসনরা। মাত্র ৩৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর বাকি ম্যাচের ফলাফল ছিল প্রত্যাশিত। সেখান থেকে আইডেন মার্করামের (৫৭) অর্ধশতরান ও ওয়াশিংটন সুন্দরের (৪০) যোগ্য সঙ্গতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান তুলতে সমর্থ হয় হায়দরাবাদ।