লখনউ : নিচু-মন্থর একনা স্টেডিয়ামের পিচে আগাগোড়া ধুঁকল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore)। বৃষ্টি বিঘ্ন কাটিয়ে শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ১২৬ রান তুলতে সক্ষম হল আরসিবি। ইনিংসের শুরুতে বিরাট কোহলি (৩১) ও দলে ফেরা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির (৪৪) লড়াই ছাড়া সেভাবে রানের খাতাই খুলতে পারলেন না ব্যাঙ্গালোরের কোনও ব্যাটসম্যান। ব্যাট চালানো তো দূরে থাক নভিন উল হক (৩/৩০), রবি বিষ্ণোই (২/২১) অমিত মিশ্রদের (২/২১) দাপটে ক্রিজে থিথুই হতে পারলেন না। 


মন্থর পিচের কথা বুঝেই টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি (Faf Du Plessis)। ৪০ বলে ১ টি চার ও ১ টি ছয়ের সুবাদে ৪৪ রানের ইনিংসের জেরে ফের একবার এবারের আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকার শীর্ষে পৌঁছে ৪৫৯ রানের সুবাদে অরেঞ্জ ক্যাপ দখলে নিলেও তাঁর দল যে ম্যাচে কমপক্ষে ১৫-২০ রান কম করেছে, সেটা ইনিংসের মাঝে মেনে নিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার।


ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়ে দুর্ভাগ্যজনভাবে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল কেএল রাহুলকে (KL Rahul)। ওপেনিং জুটিতে বিরাট-ফাফ শুরুটা ভালই করেছিলেন ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে। ৬২ রানের মাথায় তাঁদের ইনিংসে ভাঙন ধরে। রবি বিষ্ণোইকে স্টেপ আউট করে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্প হন বিরাট কোহলি। ৩০ বলে ৩ টি চারের সুবাদে ৩১ রান করেন তিনি। 


আরও পড়ুন- ফিল্ডিং করতে গিয়ে হোঁচট, খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হল কেএল রাহুলকে


যারপর থেকে অনুজ রাওয়াত (৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪), সুহাস প্রভুদেশাই (৬), দীনেশ কার্তিক (১৬) থেকে মোহিপাল লোমরোর (৩) কেউই ক্রিজে থিতু হয়ে আরসিবি ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। লখনউয়ের স্পিনারদের জালে কার্যত দিশা হারান ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটাররা। নভিন, বিষ্ণোইরা মিলিয়ে লখনউয়ের স্পিনাররা মোট ৮ টি উইকেট নেন।                                           


 






আরও পড়ুন: ফলাহারের সাতকাহন, কখন ফল খাবেন? কীভাবে ফল খাবেন?