বেঙ্গালুরু: আশঙ্কা ছিলই। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।


আইপিএল শুরু হওয়ার মাত্র ২ সপ্তাহ আগে বিরাট ধাক্কা খেল বিরাট কোহলিদের শিবির। চোটের জন্য আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB) তারকা ক্রিকেটার উইল জ্যাকস (Will Jacks)।


ডিসেম্বর মাসের মিনি অকশনে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় জ্যাকসকে দলে নিয়েছিল আরসিবি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে দলের মিডল অর্ডারকে ভরসা দেবেন বিগহিটার জ্যাকস, এই ছিল আরসিবি টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা।


মীরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে ইংল্যান্ডের জেতা ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় পেশিতে চোট লেগেছিল জ্যাকসের। তারপর তাঁর চোটের জায়গার স্ক্যান করানো হয়। নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। তারপরই আইপিএলের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন জ্যাকস।


এ বছরই ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। তার আগে আসন্ন আইপিএলকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবে দেখছেন অনেকে। জ্যাকসের কাছেও নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বড় মঞ্চ ছিল আসন্ন আইপিএল। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপের দলে নিজের জায়গা পাকা করে নিতে আইপিএলের পারফরম্যান্স বড় হাতিয়ার হতে পারত জ্যাকসের।

 

আরসিবি-তে কে হতে পারেন জ্যাকসের বদলি? শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি নাম। তবে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েল। এর আগে আইপিএলে কখনও খেলেননি ব্রেসওয়েল। ডিসেম্বরের নিলামে তিনি অবিক্রিত ছিলেন। নিলামে তাঁর ন্যূনতন দর ছিল ১ কোটি টাকা।

 

 





 

আসন্ন আইপিএলে আরসিবি-র প্রথম ম্যাচ ২ এপ্রিল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের মে মাসের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে, বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নামবে আরসিবি।

 

ধোনির প্রস্তুতি

 


চলতি মাসের শেষে ৩১ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে এবারের আইপিএল (IPL 2023)। জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত নন কিন্তু আইপিএলে খেলবেন, এমন যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও (Mahendra Singh Dhoni)। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনও আইপিএলে খেলে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন কুল। বয়স ৪১ পেরিয়েছে। কিন্তু এই বয়সেও তিনি যে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা হয়ত না দেখলে বোঝা যাবে না। 


সিএসকে তাঁদের প্রস্তুতি শিবির শুরু করে ফেলেছে। সেই শিবিরে স্বাভাবিকভাবেই রয়েছেন ধোনি। এবারই হয়ত শেষবার আইপিএলে খেলবেন তিনি। তাই বাড়তি তাগিদ রয়েছে ভাল পারফর্ম করার। নেটে ব্য়াট হাতে সেই পরিচিত মাহিকেই দেখা গেল। একের পর এক বল গ্যালারিতে ফেললেন দেদার। তাও আবার নো লুক শট। দেখে ১০ বছর আগের মাহির সঙ্গে আলাদা করা মুশকিল।