চেন্নাই: তিনি ক্রিজে থাকা মানে বোলাররা ত্রস্ত হয়ে থাকেন। তাঁর ব্যাটের চাবুকে একের পর এক বল আছড়ে গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে। আর মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটে ওঠে, 'রাসল মাসল।'


তিনি, আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। যিনি নিজে মনে করেন, ছক্কা মারার লড়াইয়ে তিনিই সেরা। সোমবার চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের (CSK vs KKR)। সেই ম্যাচের আগে ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ক্যারিবিয়ান তারকা বলেছেন, 'বড় ছক্কা মারার নিরিখে বলতে পারি, ড্রে রাসের (দলে রাসেলের ডাকনাম) সঙ্গে কেউ পাল্লা দিতে পারবে না। একটা গুড লেংথ স্পটে বল পেলেই হল। আমি উড়িয়ে দেব। রিঙ্কু অবশ্য এখন বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলে দিচ্ছে। ও পকেট রকেট। তবে আমি নিজের ব্যাট স্পিড জানি। ঠিকঠাক ব্যাটে লাগাতে পারলে ১১৫ মিটারও সহজ।'


কেকেআর আর রাসেল যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্বে চারটি টি-টোয়েন্টি লিগে দল রয়েছে কেকেআরের। বিভিন্ন নামে। সব দলেই খেলেন রাসেল। তাঁর কথায়, 'আমার কাছে কেকেআর মানে অনেক কিছু। বছরে চারবার একই খেলোয়াড়দের দেখি। চারটি লিগে। আমার কাছে এর অর্থ অনেক কিছু। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে থাকাটা সব সময় ভাল। ওরা আমাকে অনেক সমর্থন করেছে। বিশ্বাস দেখিয়েছে।'


এক একটা ম্যাচ ধরে এগোতে চান রাসেল। বলেছেন, 'আমরা ভাল খেলছি। একটা একটা ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি। খুব এগিয়ে ভাবছি না।' যোগ করেছেন, 'অনেকদিন ধরে খেলছি। প্রতিপক্ষের ওপর মনোনিবেশ করতে চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ শিবিরে কোন কোন বোলার আছে, তারা কীরকম বল করে। অনেক ক্রিকেট দেখি আমি। যে কোনও দলের বিরুদ্ধে নামার আগে হোমওয়ার্ক করে নিই। কোনও বোলার চাপের মুখে কী করে, সেটাও আগে থেকে দেখে ঠিক করে নিই। ম্যাচের দিন অবশ্য কী করলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে হোমওয়ার্ক করা থাকলে প্রস্তুত থাকা যায়। গৌতম গম্ভীর ও চন্দু স্যর আমার প্রতি খুব সদয়। ওঁরা নিশ্চিত করতে চান যে, আমরা যা চাই তাই যেন পাই।'


আরও পড়ুন: ২২ গজে ব্যাট হাতে ছন্দে ঋষভ, তাই খালি পায়ে ৪৬ কিলোমিটার হেঁটে ব্রতপালন ঊর্বশীর?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।