KKR vs SRH Qualifier 1 Live: ৩৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে সানরাইজার্সকে দুরমুশ করে ফাইনালে কেকেআর
IPL KKR vs SRH Live Score: হায়দরাবাদকে এবারের আইপিএলে দুবারের সাক্ষাতে দুবারই হারাল কেকেআর।
২৮ বলে অপরাজিত ৫১ রান বেঙ্কটেশ আইয়ারের। ২৪ বলে অপরাজিত ৫৮ রান শ্রেয়সের। ৩৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে সানরাইজার্সকে দুরমুশ করল কেকেআর। পৌঁছে গেল ফাইনালে।
নীতীশ রেড্ডির বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২৮ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। ১৩ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১৪২/২।
গত ওভারে ১০ রানে ব্যাট করা শ্রেয়সের ক্যাচ ফেলেছিলেন ক্লাসেন। ১১তম ওভারে নটরাজনের বলে ১৪ রানে ব্যাট করা শ্রেয়সে ফের জীবনদান পেলেন। এবার তাঁর ক্যাচ ফেললেন ট্র্যাভিস হেড। ঠিক পরের বলেই ছক্কা হাঁকান শ্রেয়স। ১১ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১১৯/২। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করে ফেললেন দুই আইয়ার। কেকেআরের জয়ের জন্য ৫৪ বলে আর মাত্র ৪১ রানের প্রয়োজন। শ্রেয়স ২৫ ও বেঙ্কটেশ ৩৯ রানে ব্যাট করছেন।
১৬ বলে ২১ রান করে আউট নারাইন। ১৭ বলে ৩১ রানে ক্রিজে বেঙ্কটেশ আইয়ার। সঙ্গে শ্রেয়স। ৯ ওভারের শেষে কেকেআরের স্কোর ৯৬/২।
পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারের শেষে কেকেআরের স্কোর ৬৩/১। ক্রিজে নারাইন ও বেঙ্কটেশ আইয়ার।
১৪ বলে ২৩ রান করে নটরাজনের বলে ফিরলেন গুরবাজ়। ৪ ওভারের শেষে কেকেআরের স্কোর ৪৯/১।
কামিন্সের ওভারে উঠল ২০ রান। ২ ওভারের শেষে কেকেআরের স্কোর ২৬/০।
২৪ বলে ৩০ রান করে রাসেলের বলে ফিরলেন কামিন্স। ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অল আউট হায়দরাবাদ। ম্যাচ জিততে ১৬০ তুলতে হবে নাইটদের।
স্টার্কের ১৯তম ওভারে উঠল ১২ রান। ১৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলল সানরাইজার্স। ১৯ ওভার শেষে স্কোর ১৫৬/৯। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ব্যাট হাতে দলের হয়ে লড়ছেন। তিনি ৩০ রানে ব্যাট করছেন।
স্টার্কের চতুর্থ ওভারে উঠল ১২ রান। ১৯ ওভারের শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ১৫৬/৯।
সানরাইজার্সের ব্য়াটিং ধস অব্যাহত। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারাল সানরাইজার্স। আব্দুল সামাদকে ১৬ রানে ফেরান হর্ষিত রানা। পরের ওভারেই খাতা খোলার আগেই ভুবনেশ্বরকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বরুণ চক্রবর্তী। আম্পায়ার প্রথমে আউট না দিলেও, ডিআরএসের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদল হয়। ১৭ ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর ১৩৩/৯।
দুরন্ত ফিল্ডিং আন্দ্রে রাসেলের। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আব্দুল সামাদের শট ডাইভ মেরে আটকে নিখুঁত থ্রো করলেন। রান আউট হয়ে গেলেন নন স্ট্রাইকিং এন্ড থেকে ছুটে আসা ত্রিপাঠি (৩৫ বলে ৫৫ রান)। ওই ওভারেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা সনবীর সিংহকে বোল্ড করলেন নারাইন। ১৪ ওভারের শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ১২৩/৭।
২১ বলে ৩২ রান করে বরুণের বলে ফিরলেন ক্লাসেন। ৩০ বলে ৫১ রানে ক্রিজে রাহুল ত্রিপাঠি। ১১ ওভারের শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ১০১/৫।
৮ ওভারের শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ৬২/৪। ক্রিজে ক্লাসেন ও ত্রিপাঠি।
পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারের শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ৪৫/৪। ক্রিজে রাহুল ত্রিপাঠি ও হেনরিখ ক্লাসেন।
বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন মিচেল স্টার্ক। নয় রানে নীতীশ রেড্ডিকে ফেরানোর পরের বলেই শাহবাজ আমেদকে বোল্ড করলেন স্টার্ক। ৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলল সানরাইজার্স। তিন সাফল্য স্টার্কের দখলে।
বৈভভ অরোরা দ্বিতীয় ওভারে উঠল ১২ রান। ৪ ওভারের শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ৩৩/২।
আইপিএলে এবার সানরাইজার্সের সবথেকে বড় শক্তি হিসাবে গণ্য করা হচ্ছিল ট্র্যাভিষেককে। প্রথম ওভারেই হেডকে শূন্য রানে আউট করেন স্টার্ক। পরের ওভারেই বৈভব আরোরা তিন রানে অভিষেককে আউট করলেন। দুই ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর ১৩/২।
কেকেআরের স্বপ্নের শুরুর। ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় বলেই স্বদেশীয় ট্র্যাভিস হেডের উইকেট ছিটকে দিলেন মিচেল স্টার্ক। শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হল হেডকে। প্রথম ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর ৮/১।
কেকেআরের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত হায়দরাবাদের। প্যাট কামিন্স জানালেন, বোর্ডে বড় রান তোলাই তাঁদের লক্ষ্য।
যদি ম্যাচ ভেস্তে যায়? বৃষ্টিতে যদি দুই দলের ন্যূনতম ৫ ওভার করে মোট দশ ওভারের ম্যাচও না করা যায়? সেক্ষেত্রে কী হবে? প্রথম দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগে খেলা না হলে ম্যাচ কি রিজার্ভ ডে-তে গড়াবে? যদি কেকেআর বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ পুরোপুরি ভেস্তে যায়, তাহলে ফাইনালে যাবে কোন দল? কী বলছে নিয়ম? আইপিএলের নিয়ম হল, কোয়ালিফায়ার ওয়ান বা অন্য প্লে অফ ম্যাচ বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক কোনও দুর্যোগে নির্ধারিত সময়ে শুরু করা না গেলে বাড়তি ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে ম্যাচ করার জন্য। তবে একান্তই সেই সময়েও খেলা না হলে তা দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ রিজার্ভ ডে-তে গড়াতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে দুদিনই ম্যাচ কোনও কারণে করা না গেলে অর্থাৎ, খেলা পুরোপুরি ভেস্তে গেলে গ্রুপ পর্বে যে দলের ঝুলিতে বেশি পয়েন্ট ছিল, সেই দলই ফাইনালের ছাড়পত্র পাবে। পয়েন্ট টেবিলের পিছিয়ে থাকা দলকে সেক্ষেত্রে কোয়ালিফায়ার টু খেলতে হবে। আর এই নিয়মে ফাইনালে যাবে কেকেআর।
কোয়ালিফায়ার ওয়ানে নতুন ওপেনিং জুটি নিয়ে নামতে হবে শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলকে। কারণ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডের জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছেন ফিল সল্ট। সুনীল নারাইনের সঙ্গে মিলে যিনি শুরুতেই ব্যাট হাতে ধুন্ধুমার বাঁধাচ্ছিলেন।
প্রেক্ষাপট
আমদাবাদ: আইপিএলের (IPL 2024) প্রথম কোয়ালিফায়ারের আগে যত কাণ্ড ওপেনারদের নিয়ে।
মঙ্গলবার আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ওয়ানে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (KKR vs SRH)। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে যে দল জিতবে, সরাসরি পৌঁছে যাবে ফাইনালে।
আর সেই ম্যাচের আগে এক দলের সবচেয়ে বড় কাঁটা ভেঙে যাওয়া ওপেনিং জুটি। আর অন্য দলের সেরা অস্ত্রই হলেন ওপেনারেরা।
কোয়ালিফায়ার ওয়ানে নতুন ওপেনিং জুটি নিয়ে নামতে হবে শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলকে। কারণ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডের জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছেন ফিল সল্ট। সুনীল নারাইনের সঙ্গে মিলে যিনি শুরুতেই ব্যাট হাতে ধুন্ধুমার বাঁধাচ্ছিলেন। পাওয়ার প্লে-তেই ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন ম্যাচের মোড়। সল্টের পরিবর্তে কোয়ালিফায়ারে নারাইনের সঙ্গী হবেন কে? সম্ভবত রহমানউল্লাহ গুরবাজ। গত আইপিএলেও আফগান তারকা কেকেআরের হয়ে ইনিংস ওপেন করেছিলেন। তবে এবারের আইপিএলে কোনও ম্যাচে খেলেননি। বৃষ্টিতে ভেস্তে না গেলে হয়তো রবিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেই নারাইন-গুরবাজ় জুটিকে দেখা যেত। গুরবাজের সামনে সল্টের অভাব ঢেকে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে থাকছে ট্র্যাভিষেক। ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটিকে এই নামেই ডাকা হচ্ছে। যাঁরা ক্রিজে থাকা মানে একটাই মন্ত্র – মার, মার এবং মার। এবারের আইপিএলে সেরা দশটি ওপেনিং পার্টনারশিপের মধ্যে দুটি হেড ও অভিষেকের। চলতি আইপিএলে সব দলের বোলারদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে এই জুটি। কেকেআরের কাছে এবারের আইপিএলে একমাত্র সাক্ষাতে হেরে গিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সে সেই ম্যাচে হেড খেলেননি। আমদাবাদে তিনি নিশ্চয়ই নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মরিয়া থাকবেন।
আমদাবাদে কেকেআর বনাম গুজরাত টাইটান্স ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। তীব্র গরম থাকবে। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময় থেকে এই মাঠে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার উদাহরণই বেশি। কেকেআর ও হায়দরাবাদ, দুই দলই হয়তো টস জিতলে প্রথমে ফিল্ডিং করে নিতে চাইবে।
ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন দুই দলের বোলাররাও। একদিকে যেমন থাকবেন মিচেল স্টার্ক, অন্যদিকে প্যাট কামিন্স। হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার, টি নটরাজন নিয়মিত উইকেট তুলছেন। কেকেআরের হর্ষিত রানা ডেথ ওভারে ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠছেন। তবে স্পিন বিভাগে এগিয়ে কেকেআর। সুনীল নারাইন বল হাতে পুরনো ছন্দে। কৃপণ বোলিং করছেন। উইকেট নিচ্ছেন। বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতেও বিধ্বস্ত হচ্ছে প্রতিপক্ষরা। কেকেআরের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ব্যাটে-বলে দুরন্ত ছন্দে। হায়দরাবাদের জবাব হতে পারেন অলরাউন্ডার নীতীশ রেড্ডি। কেকেআরের মিডল অর্ডারকে টানবেন বেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার, নীতীশ রানারা। ফিনিশার হিসাবে ভরসা রিঙ্কু সিংহ। হায়দরাবাদের হাতে রয়েছেন রাহুল ত্রিপাঠি, হেনরিখ ক্লাসেনরা।
দুই দলের শেষ পাঁচ সাক্ষাতে তিনবার জিতেছে কেকেআর। দুবার জিতেছে হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার শেষ হাসি তোলা থাকছে কাদের জন্য? ক্রিকেটপ্রেমীরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: বাঙালি গায়িকার মুখে করব, লড়ব, জিতব রে... রাসেল-স্টার্ক-রিঙ্কুরাও নাচলেন, গাইলেন
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -