লখনউ: প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্স যখন স্কোরবোর্ডে ২৩৫/৬ তুলল, তখনই একটা পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেল। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে লখনউয়ে এমনকী, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুশো রানও ওঠেনি। যা সম্ভব করে দেখালেন সুনীল নারাইন। ৩৯ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন। সঙ্গত করলেন কখনও ফিল সল্ট (১৪ বলে ৩২ রান), কখনও রামনদীপ সিংহ (৬ বলে অপরাজিত ২৫ রান)। বলাবলি শুরু হয়ে গেল, এই রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে কি ইতিহাস তৈরি করতে পারবেন কে এল রাহুলরা?
বাস্তবে দেখা গেল, লড়াই দূরস্থান, ম্যাচে এমন কোনও পরিস্থিতিও তৈরি হল না যে, যেখানে দাঁড়িয়ে মনে হতে পারে ম্যাচ জিতবে লখনউ। ২৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৬.১ ওভারে মাত্র ১৩৭ রানে গুটিয়ে গেল লখনউ। ৯৮ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এল কেকেআর। রাজস্থান রয়্যালসের পয়েন্টও সমান। তবে নেট রান রেট অনেক ভাল থাকায় শীর্ষে কেকেআর। শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলের প্লে অফে ওঠাও কার্যত নিশ্চিত।
টস জিতে কেকেআরকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন লখনউয়ের অধিনায়ক কে এল রাহুল। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন কেকেআরের দুই ওপেনার সুনীল নারাইন ও ফিল সল্ট। ৪ ওভারে ৫৭ তুলে ফেলেন তাঁরা। চলতি আইপিএলে একমাত্র ওপেনিং জুটি হিসাবে ৬ বার পঞ্চাশ বা তার বেশি রান তুললেন নারাইন-সল্ট। ১৪ বলে ৩২ রান করে নবীন উল হকের বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সল্ট ফিরলেও, নারাইন ঝড় থামার কোনও লক্ষণই ছিল না। নবীন উল হক, মহসিন খান, ক্রুণাল পাণ্ড্য, যশ ঠাকুর, মার্কাস স্টোইনিস - কাউকেই রেয়াত করেননি। ৩৯ বলে ৮১ রান করে আউট হন নারাইন।
বল হাতেও দুরন্ত ছন্দে নারাইন। তাঁর বলে যেন পুরনো স্পিনের ছোবল। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে নিলেন ১ উইকেট। হর্ষিত রানা নির্বাসন কাটিয়ে ফিরেই ২৪ রানে নিলেন ৩ উইকেট। ৩ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। ম্যাচের সেরা হয়েছেন নারাইনই।
আরও পড়ুন: বিরাট ধাক্কা সিএসকে-র, চোট পেয়ে দেশে ফিরে গেলেন ছন্দে থাকা ফাস্টবোলার
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।