লখনউ: এই ম্য়াচে নামার আগে মুখোমুখি মহারণে এক তরফা এগিয়ে ছিল গুজরাত টাইটান্স (Gujrat Titans)। এখনও পর্যন্ত চলতি ম্য়াচ ছাড়া মোট চারবার মুখোমুখি হয়ে চারবারই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। নিজেদের ঘরের মাঠে রবিবার প্রথমবার গুজরাত শিবিরকে হারানোর লক্ষ্যে নেমেছে কে এল রাহুলের দল। কিন্তু খেলার প্রথম ২০ ওভার শেষে কতটা খুশি থাকবে লখনউ (Lucknow Super Giants) শিবির নিজেদের পারফরম্য়ান্স, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ও এরপর বোর্ডে মাত্র ১৬৩/৫ তুলতে পারা। প্রাপ্তি বলতে মার্কাস স্টোইনিসের শতরান।
এদিন টস জিতেছিলেন রাহুল। নিজে ওপেনিংয়ে নামেন কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে। প্রোটিয়া তারকা প্রতি ম্য়াচেই শুরুতে ধুমধারাক্কা ব্যাটিং করে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন সবসময়। কিন্তু এদিন উমেশ যাদবের সামনে আটকে গেলেন। মাত্র ৬ রান করে তিনি ফিরে গেলেন নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দেবদত্ত পড়িক্কলও রান পেলেন না। তিনি ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন। তাঁকেও ফিরিয়ে দেন উমেশ। এরপর স্টোইনিসকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কে এল রাহুল। স্টোইনিস এদিন অর্ধশতরান পূরণ করেন ওপরের দিকে নেমে। ৪৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা অলরাউন্ডার। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। রাহুল যদিও এদিন ধীরে ক্রিজে সেট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মোট ৩১ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন লখনউয়ের অধিনায়ক। কিন্তু এদিন চালিয়ে খেলতে পারলেন না রাহুল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্ট রাহুলের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এদিন যেভাবে খেললেন তাতে কিন্তু চিন্তা বাড়বে। শেষ দিকে পুরাণ এসে আয়ুশ বাদোনি মিলে কিছুটা চালিয়ে খেলা শুরু করেন। নিকোলাস পুরাণ ২২ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩টি ছক্কা হাঁকান নিজের ইনিংসে ক্য়ারিবিয়ান তারকা। বাদোনি ১১ বলে ২০ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান।
গুজরাত বোলাররা এদিন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের নমুনা রাখলেন। বিশেষ করে উমেশ যাদব যে ধাক্কা দিয়েছিলেন শুরুতে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি লখনউ শিবির। তিনি ২ উইকেট নেন। দর্শন নলকণ্ডে ২ উইকেট নেন। রশিদ খান ১টি উইকেট নেন। উইকেট না পেলেও নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২২ রান দেন নূর আহমেদ।