জয়পুর: ঘরের মাঠে চলতি আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্য়াচ খেলতে নেমেছে লখনউ সুপারজায়ান্টস। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বোর্ডে  রান তুলে নিল লখনউ। কে এল রাহুল এদিন অধিনায়ক ছিলেন না। নিকোলাস পুরাণ এদিন নেতৃত্বভার সামলাচ্ছেন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে এই ম্য়াচে খেলছেন রাহুল। তবে রান পেলেন না তিনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন পুরাণ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ডি কক ও ক্রুণাল পাণ্ড্য। শেষবেলায় ক্যামিও খেললেন ক্রুণাল। দলের স্কোর পৌঁছে দিলেন ১৯৯/৮-এ। 


 






এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক নিকোলাস পুরাণ। কে এল রাহুলকে এদিন ফিল্ডিং থেকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টিম ম্য়ানেজমেন্ট। চোট আঘাত থেকে সম্প্রতি সেরে উঠেছেন রাহুল। ফলে তাঁকে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবেই কাজে লাগাতে চেয়েছিল টিম ম্য়ানেজমেন্ট। সেই মত টসের সময়ই পুরাণ বলে দেন যে রাহুল ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলবেন। কিন্তু কাজে এল না স্ট্র্যাটেজি। রান পাননি রাহুল। মাত্র ১৫ রান করেই ফিরে যান তিনি। ডি কক যদিও ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস বড় করছিলেন। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। ৩৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান ডি কক। পড়িক্কল ৯ ও স্টোইনিস ১৯ রান করেন। তবে এরপরই শুরু হয় লখনউয়ের একানা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পুরাণের ব্যাটিং শো। ২১ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। ডি ককের সঙ্গ প্রথমে জুটি বাঁধেন। ডি কক ফিরে যাওয়ার পর আয়ুশ বাদোনি আসেন ক্রিজে। তিনি যদিও ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে শেষবেলায় ক্যামিও ইনিংস খেলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। ২২ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। 


পাঞ্জাব কিংসের বোলারদের মধ্য়ে স্যাম কারান সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন অর্শদীপ। ১টি করে উইকেট নেন রাবাডা ও রাহুল চাহার।