বেঙ্গালুরু: শুরুতে তিন ওভারে ৩১ রান বোর্ডে তুলে দিয়েছিল যখন আরসিবি (RCB) তখনই মনে হয়েছিল আজ দিনটা হতে চলেছে তাদের। কিন্তু মাঝে বৃষ্টি এসে বাধা দেয় খেলায়। আচমকাই ক্রিজ ছাড়তে হয়েছিল বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও ফাফ ডু প্লেসিকে (Faf Du Plessis)। এরপর ফের খেলা শুরু হয় যখন তখন চেন্নাইয়ের স্পিনারদের সামনে সমস্যায় পড়ছিলেন বিরাট ও ফাফ দুজনেই। কিন্তু তা কিছুক্ষণের জন্যই ছিল। চিন্নাস্বামী এদিন মাঠ ভরিয়েছিল কিং কোহলির ব্যাটে ঝড় দেখবেন বলে। কোহলি খেললেন ৪৭ রানের ইনিংস। কিন্তু তিনি একা  খেললেন না। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন ডু প্লেসি, রজত পাতিদার, ক্যামেরন গ্রিন। 


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। আরসিবি একাদশে এদিন নেওয়া হয়েছিল গ্লেন ম্য়াক্সওয়েলকে। আরসিবি ওপেনিং জুটি ফাফ ডু প্লেসি ও বিরাট কোহলি নেমেছিলেন। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান তুলতে পারে আরসিবি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন ফাফ ও বিরাট। তিন ওভারে যখন বোর্ডে ৩১ রান তখন হঠাৎ করেই বৃষ্টি নামে। যার জন্য় বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টির কমার পর যখন খেলা শুরু হল তখন স্যান্টনার ও থিকসানা জুটির সামনে একেবারেই ব্যাট হাতে ছন্দে দেখাচ্ছিল না বিরাট ও ফাফকে। জাডেজা অবশ্য এদিন একেবারেই ভাল বল করেননি। নিজের ৩ ওভারের স্পেলে ৪০ রান খরচ করেন জাডেজা। বিরাট অল্পের জন্য নিজের আরও একটা অর্ধশতরান মিস করেন। ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে চারটি ছক্কা ও ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান। ডু প্লেসি ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন।  তবে আরসিবির রানের গতি পুরো বেড়ে যায় রজত পাতিদার ও ক্যামেরন গ্রিন যখন ব্যাট করছিলেন। ২৩ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পাতিদার। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি। গ্রিন ১৭ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। দীনেশ কার্তিক শেষবেলায় ৬ বলে ১৪ ও গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল ৫ বলে ১৬ রান করে আরসিবির স্কোর ২১৮-তে পৌঁছে দেন। সিএসকে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করেন এদিন শার্দুল ঠাকুর। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ২ উইকেট নিলেও ৬১ রান খরচ করেন তিনি। সিএসকেকে প্লে অফে পৌঁছাতে হলে অন্তত ২০১ রান করতেই হবে।