হায়দরাবাদ: তাঁদের ওপেনিং জুটি প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলারদের মনে থরহরিকম্প তৈরি করে দিচ্ছে। সমর্থকেরা তাঁদের জুটিকে ডাকতে শুরু করেছেন 'ট্র্যাভিষেক'। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ট্র্যাভিস হেডের ব্যাট চলল না। ইনিংসের প্রথম বলেই তাঁর অফস্টাম্প ছিটকে দিলেন অর্শদীপ সিংহ। কিন্তু ট্র্যাভিষেক জুটির দ্বিতীয় জন, অভিষেক ঝড় তুললেন। তাঁর ব্যাটের দাপটে পাঞ্জাব কিংসের (SRH vs PBKS) ছুড়ে দেওয়া ২১৫ রানের চ্যালেঞ্জও তুচ্ছ দেখাতে শুরু করেছিল এক সময়।


পাঞ্জাব কিংসের ২১৪/৫ স্কোর ৫ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেল হায়দরাবাদ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেট জিতলেন প্যাট কামিন্সরা। নিজামের শহরে ম্যাচ জিতে ১৭ পয়েন্টে লিগ পর্ব শেষ করল হায়দরাবাদ। আপাতত পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে রয়েছেন কামিন্সরা। রবিবার রাতের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স যদি রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দেয়, তাহলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে নাইটদের প্রতিপক্ষ হবে হায়দরাবাদই।


২৮ বলে ৬৬ রান করলেন অভিষেক। পাঁচ চার, ছয় ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ২৩৫.৭১। মাত্র ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন। ১৩ ম্যাচে ৪০১ রান হয়ে গেল তাঁর। ভারতীয় দলে ঢোকার দাবিদার হয়ে উঠেছেন অভিষেক। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন রাহুল ত্রিপাঠি। দলে ফিরেই ১৮ বলে ৩৩ রান করলেন তিনি। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তুলল ৮৪/২। চলতি আইপিএলে যা হায়দরাবাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। বিরল একটি রেকর্ডও গড়েছেন অভিষেক। আইপিএলের ইতিহাসে ভারতীয়দের মধ্যে এক মরশুমে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন। এদিনের ছয় ছক্কার পর তাঁর ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯। ভেঙে দিলেন ২০১৬ সালে বিরাট কোহলির মারা ৩৮ ছক্কার রেকর্ড।


 




প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাব কিংস তুলেছিল ২১৪/৫। ৪৫ বলে ৭১ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার প্রভশিমরন সিংহ। সঙ্গে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন অথর্ব তাইডে (২৭ বলে ৪৬ রান), রিলি রুসৌ (২৪ বলে ৪৯ রান), জিতেশ শর্মা (১৫ বলে অপরাজিত ৩২ রান)। সেই সময় মনে হয়েছিল হায়দরাবাদের লড়াইটা সহজ হবে না। যদিও প্রথমে অভিষেক এবং রাহুল ও পরে নীতীশ রেড্ডি (২৫ বলে ৩৭ রান) ও হেনরিখ ক্লাসেনের (২৬ বলে ৪২ রান) দাপটে সহজেই ম্যাচ জিতল হায়দরাবাদ।


আরও পড়ুন: ইডেনে আইপিএলের শেষ ম্যাচের পরই বাংলার ক্রিকেটে আচমকা পদত্যাগের ঢল


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।