আমদাবাদ: তীরে এসে তরী ডুবল আরও একবার। এবার তো শুরুতেই কফিনবন্দি হয়ে যাচ্ছিল দলটা। কিন্তু সেখান থেকেই একের পর এক জয়। টানা ৬ ম্য়াচে অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটল। প্লে অফের টিকিট পাকা করতেই আশা বাঁধছিলেন সমর্থকরা যে এবার হয়ত আক্ষেপ ঘুচবে। এবার হয়ত আরসিবি আইপিএল (IPL 2024) ট্রফি জিতবে। কিন্তু আরও একটা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। যা কিছুতেই মানতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। বিরাট, ফাফ, ম্য়াক্সওয়েল থেকে সিরাজ, যশ সবাই হতাশ। গোটা আরসিবি ড্রেসিংরুমে এক অদ্ভূত শূন্যতা গ্রাস করেছে। সবচেয়ে কাকতালীয় ব্যাপার হল সেই আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। গত বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর চোখে জল নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। সেদিন ড্রেসিংরুমে ক্লান্ত অবশ্রান্ত শরীরগুলোকে চাঙ্গা করতে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন অবশ্য তেমন কাউকে ড্রেসিংরুমে দেখা যায়নি। সবাই কেমন যেন আলাদা আলাদা হয়ে বসে ছিলেন। গতকাল ম্য়াচ হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আরসিবির তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই এই ছবি ধরা পড়েছে। 


 






উল্লেখ্য, টানা ছয় ম্য়াচ জিতে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছিল আরসিবি। প্রতি বছরই অনেক আশা, স্বপ্ন নিয়ে টুর্নামেন্টে আরসিবির হয়ে গলা ফাটান আরসিবি সমর্থকরা। আর প্রত্যেকবারই কোনও না কোনওভাবে ট্রফির নাগাল পাওয়ার আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় বিরাট ব্রিগেডকে। এবারও সম্ভাবনা প্রায় ১ শতাংশও একটা সময় ছিল না। কিন্তু সেখান থেকেই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে গোটা দল। পরপর ৬ ম্যাচ জিতে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছিল ফাফ ডু প্লেসির নেতৃত্বাধীন আরসিবি শিবির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এলিমিনেটরেই অভিযান শেষ হল তাদের। গতকাল ব্যাট হাতে বড় রান পাননি বিরাট, ফাফর। ম্য়াক্সওয়েল তো খাতাই খুলতে পারেননি। বড় ম্য়াচে তারকা প্লেয়ারদের পারফর্ম না করতে পারার খেসারতই কোথাও না কোথাও দিতে হল বেঙ্গালুরুর ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। এদিকে রাজস্থান আগামীকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে খেলতে নামবে চেন্নাইয়ের পি চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। যার জিতবে তাঁরাই আগামী ২৬ মে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেতাবি লড়াইয়ে খেলতে নামবে।