নয়াদিল্লি: অভিষেক পোড়েল ও করুণ নায়ারের (Karun Nair) দুরন্ত ব্যাটিংয়ে তড়তড়িয়ে জয়ের দিকে এগোচ্ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে শেষের দিকে মূলত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (DC vs MI) দুই স্পিনার কর্ণ শর্মা (Karan Sharma) ও মিচেল স্যান্টনারের দৌলতে তাসের ঘরের মতো ভাঙল দিল্লি ক্যাপিটালসের মিডল অর্ডার। ১২ রানে মরশুমে প্রথমবার পরাজিত হল দিল্লি। 

২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্ককে হারায় দিল্লি। তবে তাতে তেমন প্রভাব পড়েনি। ব্যাটে নেমে স্বপ্নের ফর্মে দেখাচ্ছিল করুণ নায়ারকে। কে বলবে, তিনি এতদিন আইপিএল ম্যাচই খেলার সুযোগ পাননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে গুচ্ছ রান যে তাঁর আত্মবিশ্বাসকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে তুলেছে, তা যশপ্রীত বুমরাকে প্রথম ওভারে ১১ রান তুলে প্রমাণ করেন করুণ। কামব্যাক ম্যাচে মাত্র ২২ বলে অর্ধশতরান হাঁকালেন করুণ। বুমরা, দীপক চাহার কেউই রক্ষা পেলেন না তাঁর আগ্রাসন থেকে। সাত বছর পর আইপিএলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি।

 

 

পাওয়ার প্লে শেষেই দিল্লির এক উইকেটে ৭২ রান তুলে জয়ের দিকে এগোচ্ছিল। বাংলার অভিষেক পোড়েলকেও দারুণ ছন্দে দেখাচ্ছিল। তবে ১১তম ওভারেই খেলা ঘুরতে শুরু করে। একদিকে যেখানে দিল্লির ইমপ্যাক্ট সাব করুণ ততক্ষণে নিজের দাপট দেখিয়ে সকলকে মুগ্ধ করে ফেলেছেন, তখন মুম্বইয়ে ইমপ্যাক্ট সাব কর্ণ নিজের ভেল্কি দেখানো সবে শুরু করছেন। তিনি ৩১ রানে ফেরান পোড়েলকে। এরপর তো যেন হু হু করে ভেঙে পড়ে গোটা দিল্লি ব্য়াটিং। 

পরের ওভারেই ৮৯ রানে ব্যাট করা করুণকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। পরপর দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় দিল্লি। তবে তখনও ক্রিজে গত ম্যাচের নায়ক কেএল রাহুল উপস্থিত ছিলেন। জয়ের আশাও দেখছিল দিল্লি। কিন্তু তাঁকেও সাজঘরে ফেরান সেই কর্ণ শর্মাই। এরপর দিল্লি খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি। শেষ আট বলে চার উইকেট হারিয়ে দিল্লি ১৯৩ রানেই অল আউট হয়ে যায়। এই পরাজয়ের জেরে লিগ তালিকায় শীর্ষস্থান হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস