মুম্বই: সব জল্পনার অবসান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেই থাকছেন রোহিত শর্মা। আগামী আইপিএলের আগে চলতি বছরই মেগা নিলাম রয়েছে। সেই নিলামের আগে আজ ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ছিল রিটেনশনের চূড়ান্ত তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেই মতই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁদের অভিজ্ঞ চার ক্রিকেটারকেই ধরে রাখল। রোহিত, হার্দিক, সূর্যকুমার, বুমরা থাকছেন। একইসঙ্গে তিলক ভার্মাকেও তালিকায় রাখা হয়েছে। একটা জল্পনা ছিল যে নতুন মরশুমে কে অধিনায়ক থাকবেন। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে হার্দিক পাণ্ড্যকেই অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হচ্ছে।
রিটেনশনের যে তালিকা রয়েছে, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে বুমরা সবচেয়ে বেশি টাকা পাচ্ছেন। ১৮ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে রিটেন করা হয়েছ। অন্যদিকে সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পাণ্ড্যকে ১৬.৩৫ কোটি টাকা দিয়ে রিটেইন করা হয়েছে। রোহিত শর্মাকে ১৬.৩ কোটি টাকা দিয়ে ধরে রাখা হয়েছে। তিলক ভার্মার পেছনে আট কোটি টাকা খরচ করছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অন্যতম কর্ণধার আকাশ আম্বানি বলছেন, ''আমরা সবসময় পরিবার হিসেবে থাকার চেষ্টা করেছি। আমরা বিশ্বাস করেছি নিজেদের ঐতিহ্যকে বজায় রাখার বিষয়ে। আমাদের দলের সঙ্গে যে চারজন প্লেয়ারের নাম জড়িয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে সেই রোহিত, হার্দিক, সূর্যকুমার ও তিলক প্রত্যেকেই আমাদের সঙ্গেই থাকছেন। আশা করি আসন্ন মরশুমেও আমরা দুর্দান্ত দল গড়তে পারব। অধিনায়ক হিসেবে হার্দিকের ওপরই আমরা ভরসা রাখছি।''
উল্লেখ্য, রোহিত শর্মা ২০১১ সাল থেকে মুম্বই শিবিরের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও বুমরা রয়েছেন আইপিএল কেরিয়ারের শুরু থেকেই। সূর্যকুমার যাদব এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ৯ মরশুম খেলছেন। হার্দিক আট মরশুম খেলছেন। ২০২২ সাল থেকে তিলক ভার্মাও এই দলের অঙ্গ।
কিছুদিন আগেই নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ঈঙ্গিতবহ পোস্ট করেছিলেন হার্দিক। সেখানে লেখা ছিল খুব বড় একটি ঘোষণা করতে চলেছি খুব শীঘ্রই। তার কিছুদিনের মধ্যেই নতুন মরশুমের আগে মুম্বইয়ের নেতৃত্বে বহাল থাকলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার।
তবে গুজরাতের সঙ্গে হার্দিকের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দু'মরশুম খেলার পরই গুজরাত ছেড়ে দেন তিনি। তাঁকে নেয় পুরনো দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুধু নেয়ই না, তাঁকে অধিনায়কও করা হয় দলের। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। মুম্বইকে পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা রোহিতকে সরিয়ে দেওয়া মেনে নিতে পারেননি সমর্থকেরা। হার্দিককে আক্রমণ, ট্রোলিং চলতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্য়ান্স করে ফেরার পর হার্দিককে নিয়ে প্রশংসার বন্যা বইতে থাকে।