লখনউ: পরপর তিন ম্যাচে জয়। লখনউ সুপার জায়ান্টস মাঝে খানিকটা খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে গেলেও, আইপিএল (IPL 2025) লিগ লিডার তথা টানা চার ম্যাচ জয়ী গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে (LSG vs GT) দুরন্ত মেজাজে জয় ছিনিয়ে নেয়। তবে দল জিতছে, তা অধিনায়কের ব্যাটে রানের দেখাই নেই। এদিন ব্যাটিং পজিশন বদলে ওপেনিংয়ে নামলেও ফের বড় রান করতে ব্যর্থ লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)।


মিচেল মার্শের অনুপস্থিতিতে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে পন্থ ৮ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে পন্থ বলেন তিনি যত ব্যাট করবেন ততই ছন্দে ফিরতে সুবিধা হবে। তিনি বলেন, 'আমি প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে ছন্দে ফিরছি। আমি উইকেটে যতটা সময় কাটাব, ততই ছন্দে ফিরতে সুবিধা হবে।' তবে পন্থ রান না পেলেও, ফের একবার রান পেলেন নিকোলাস পুরান। ৩৪ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে 'অরেঞ্জ ক্যাপ' নিজের দখলেই রাখলেন পুরান। দলকে জিততে সাহায্য করলেন তিনি। 


পুরানের মতো ক্রিকেটারকে দলে পাওয়াটা সৌভাগ্যের বলেই মনে করেন পন্থ। 'পুরানকে আমাদের দলে  থাকাটা সৌভাগ্যের। এমন একজন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের দলের বদলে যাতে নিজেদের দলে থাকে, সবসময় সবাই সেটাই চাইবে। ও যেভাবে ব্যাট করছে, তা এককথায় অভাবনীয়।' বলেন লখনউ অধিনায়ক। 




লখনউয়ের পিচে যেখানে বল খানিকটা থেমে আসছিল, সেখানে কিন্তু ১৮১ রানের লক্ষ্য খুব সহজ ছিল না। তবে নিকোলাস পুরান , এডেন মারক্রামের দুরন্ত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হেসেখেলে ম্যাচ জিতে নিল লখনউ। শেষের দিকে কয়েকটি উইকেট হারানোয় খানিকটা সময় লাগলেও, লখনউয়ের জয় নিয়ে খুব একটা সন্দেহ কোনও সময়ই ছিল না। শেষমেশ তিন বল বাকি থাকতে ছয় উইকেট ম্যাচ জিতল লখনউ। পুরানের ৬১ রানের পাশাপাশি মারক্রাম ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। 



প্রথম ইনিংসে একানা স্টেডিয়ামে দুই সূম্পর্ণ ভিন্ন মেজাজে দুই অর্ধ দেখা গিয়েছিল। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্স প্রথম ১২ ওভারে সম্পূর্ণ দাপট দেখিয়ে বিনা উইকেটে ১২০ রান তুলেছিল। মনে হয়েছিল শুভমন গিলের দল হেসেখেলে দু'শো রান পার করবে। তবে হালকা রিভার্স স্য়ুইং, অল্প স্পিন আর তাতেই বদলে গেল সবকিছু। শেষ আট ওভারে গুজরাত ৬০ রানের বিনিময়ে ছয়টি উইকেট হারায়। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮০ রানেই থেমে গেল গুজরাতের ইনিংস। তবে গিল ও সাই সুদর্শন অর্ধশতরান হাঁকালেন। তাঁরা যথাক্রমে ৫৬ ও ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু তা যে দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, তা বলাই বাহুল্য।