বেঙ্গালুরু: ২ বার বিড উঠেছিল তাঁর। কিন্তু এরপরও কোনও দলই তাঁকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। আইপিএলের (ipl) ইতিহাসের চতুর্থ সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী সুরেশ রায়নার দল না পাওয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকী যেই দলের হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম মরসুম থেকে খেলে এসেছিলেন বাঁহাতি তারকা, সেই চেন্নাই সুপার কিংসও রায়নাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। কিন্তু কেন? নিলামের পরের দিন সেই কারণই ফাঁস করলেন সিএসকের সিইও কাশী বিশ্বনাথ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''গত ১২ বছর ধরে চেন্নাইয়ের হয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার সুরেশ রায়না। আমাদের পক্ষে এটা সত্যিই ভীষণ কষ্টের ছিল যে রায়নাকে দলে রাখতে না পারা। কিন্তু আমাদেরও বাস্তবটা বুঝতে হবে। কোন দল কীভাবে স্ট্র্যাটেজি সাজাচ্ছে, সেই সবও লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। সেভাবেই আমাদের টিম কম্বিনেশনও সাজাতে হচ্ছে। তার জন্যই রায়নাকে আমরা দলে রাখতে পারেনি।''
সিএসকে ফাফ ডু প্লেসির জন্যও দর ওঠায়নি। তাঁকে দলে নিয়েছে আরসিবি। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথ জানান, ''আমরা রায়নার মতো ফাফকেও মিস করব আমাদের দলে। গত এক দশক ধরে ফাফও আমাদের দলের অঙ্গ ছিল। কিন্তু এটাই নিলামের সমীকরণ। এভাবেই নিলাম হয়।''
আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বাধিক রান সংগ্রাহক রায়না। এই মরসুমের আগে পর্যন্ত কোনও নিলামেই অবিক্রিত ছিলেন না রায়না। কিন্তু এবার প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনেও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। এরপরই রায়নার পাশে দাঁড়িয়ে ইরফান পাঠান বলেন, ''আমি এখনও মনে করি যে রায়নাকে যে কোনও দল নিতেই পারত। আমরা অনেক বিদেশি প্লেয়ারদের দেখি, যাঁদের বয়স ৪০ বা তার বেশিই। কিন্তু তাঁরা তো আইপিএলে খেলছে। কিন্তু একটা মরসুম খারাপ যাওয়ায় রায়নাকে এভাবে সরিয়ে দেওয় হল!''
২০২১ সালে আইপিএলে একদমই আশানরুপ ফল করতে পারেননি রায়না। ১২ ম্যাচে ১৭.৭৭ গড়ে মাত্র ১৬০ রান করেছিলেন। ঝুলিতে ছিল একটি মাত্র অর্ধশতরান। মোট ২০৪ জন প্লেয়ার এবারের নিলামে উঠেছিল। তাঁর মধ্যে ৬৭ জন বিদেশি প্লেয়ার। বাকিরা দেশের প্লেয়ার। এছাড়া ৭৬ জন অবিক্রিতই থেকে গিয়েছেন নিলামের শেষে।