আমদাবাদ: প্রথমবার আইপিএল (IPL) খেলতে নেমেছে একটা দল। কিন্তু শরীরী ভাষা দেখে বোঝার উপায় নেই। শান্ত, সংযত। ফাইনালের স্নায়ুর চাপকে যেন শতহস্ত দূরে রাখলেন। গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) ক্রিকেটারদের যে প্রত্যয়ী মানসিকতার প্রতিফলন হল তাঁদের পারফরম্যান্সেও। আইপিএল ফাইনালে বল হাতে দাপট দেখালেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya), মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), রশিদ খানরা (Rashid Khan)। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান মাত্র ১৩০/৯ স্কোরে আটকে গেল।
চলল না জস বাটলারের ব্যাট। যিনি চলতি আইপিএলে অনবদ্য কীর্তি গড়েছেন। চারটি সেঞ্চুরি। ডেভিড ওয়ার্নারের রেকর্ড ভেঙে আইপিএলে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত রানের নজির। রবিবারও বাটলারই রাজস্থানের সর্বোচ্চ স্কোরার। কিন্তু তাঁর ৩৯ রান রাজস্থানের পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
বরং বল হাতে ভেল্কি দেখালেন হার্দিক পাণ্ড্য। ভারতীয় ক্রিকেট আকাশে যাঁর উদয় হয়েছিল পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে। কেউ কেউ তো তাঁকে কপিল দেবের উত্তরসূরি পর্যন্ত বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরই পতন। পিঠের চোট, অস্ত্রোপচার, সব মিলিয়ে হার্দিক বল করাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এমনকী, জাতীয় দলের হয়ে তিনি বল না করায় প্রচুর প্রশ্ন উঠেছিল। বাদ পড়েছিলেন দল থেকেও। হার্দিক রবিবার প্রমাণ করে দিলেন, বোলার হিসাবেও ফুরিয়ে যাননি।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক। শিকারের তালিকায় রাজস্থানের সেরা তিন ব্যাটার। বাটলার, সঞ্জু স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ার।
হার্দিককে যোগ্য সঙ্গত করলেন শামি, রশিদ খান-সহ বাকি সব বোলাররাই। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে ১ উইকেট তুলে নিলেন রশিদ। ইনিংসের বিরতিতে ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে যিনি বলছিলেন, ফাইনাল ভেবে নামিনি। আর পাঁচটা ম্যাচটের মতোই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম সকলে। হয়তো সেই কারণেই আমাদের শান্ত, সংযত দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: রহমানের গলায় 'জয় হো' শুনে মঞ্চে উঠে এলেন রণবীর, সাক্ষী লক্ষাধিক দর্শক