কারা? ‘স্টিভ স্মিথ, সঞ্জু স্যামসন, জশ বাটলার,’ বলছেন অইন মর্গ্যান। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবার কেকেআরের অন্যতম প্রধান ব্যাটিং ভরসা। রাজস্থান ম্যাচের আগে মর্গ্যান চিন্তিত প্রতিপক্ষের ত্রয়ীকে নিয়ে। বলেছেন, ‘ওরা খুব অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী। আমরা নিজেদের পারফরম্যান্সে জোর দিচ্ছি। মাঠে সমস্ত পরিকল্পনা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তবে স্মিথ-স্যামসন-বাটলাররা ২০ ওভার পর্যন্ত টিকে গেলে ম্য়াচ হেরে যেতে পারি। ওদের দ্রুত ফেরাতেই হবে। বিশেষ করে বাটলার ও স্যামসন। স্টিভ স্মিথও দুরন্ত ফর্মে।’
ইংল্যান্ড দলে তাঁর সতীর্থ বেন স্টোকসকে পাচ্ছে না রাজস্থান। তাতে কিছুটা স্বস্তিতে মর্গ্যান। তবে আর এক প্রতিপক্ষ, যিনি ইংল্যান্ড দলে তাঁর নেতৃত্বেই খেলেন, সেই জোফ্রা আর্চারকে নিয়ে চিন্তিত মর্গ্য়ান। বলছেন, ‘জোফ্রা দারুণ বল করছে। আমি কোনও ক্রিকেটারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখে এত প্রভাবিত হইনি। দুবছরের মধ্যে অনেক উন্নতি করেছে। ও বড় শটও খেলতে পারে। তবে ওর ব্যাটিং নয়, বোলিং নিয়ে চিন্তিত আমি।’
আগের ম্যাচে নাইটদের জয়ের নায়ক শুবমান। মর্গ্যান বলছেন, ‘শুবমানের সঙ্গে ব্যাটিং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। প্রথমবার ওকে দেখছি। ব্যক্তিগতভাবে চিনছি। ওকে দেখে প্রভাবিত হয়েছি। প্রতিশ্রুতিমান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অভিজ্ঞ বোলারদের বিরুদ্ধে ওকে ব্যাট করতে দেখাটা দারুণ ছিল। আশা করছি প্রত্যেক ম্যাচেই ও অবদান রাখবে আর এভাবেই খেলে যাবে।’ যোগ করছেন, ‘মুম্বই ম্যাচের পর বোলাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ওদের আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। কোনও দলেরই ঘরের মাঠে পরিস্থিতি বেশ কঠিন। দুটো ম্যাচের পিচ এক নয়। সব দলকেই প্রত্যেক ম্যাচে পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। তবে আমরা যে সেটা পারি, হায়দরাবাদ ম্যাচে দেখিয়ে দিয়েছি।’
দলে এক ঝাঁক নতুন, প্রতিভাবান মুখ। মর্গ্যান বলছেন, ‘কাকে প্রথম একাদশে খেলানো হবে, সেটা ঠিক করা কোচ-অধিনায়কের দায়িত্ব। সেটা বেশ সুখকর একটা দুশ্চিন্তা। তবে ১১ জন ক্রিকেটার নিয়ে আইপিএল জেতা যায় না। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে রিজার্ভ বেঞ্চটাও যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।’