আমদাবাদ: কে এল রাহুল ও ক্রিস গেলের ব্য়াটিং দাপটে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্য়াট করে পঞ্জাব কিংস তুলল ৫ উইকেটে ১৭৯ রান। ৫৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত রইলেন রাহুল। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা। ক্রিস গেলও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ২৪ বলে ৪৬ রান করলে ক্যারিবিয়ান তারকা। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও দুটি ছক্কা।
শুক্রবারের ম্যাচ খাতায় কলমে দেখলে পয়েন্ট টেবিলে ছয়ের সঙ্গে তিনের লড়াই। তবে পার্থক্য হচ্ছে, এই ম্যাচ জিতলে একটা দল পৌঁছে যাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। আর অন্য দল হয়তো অঙ্কের বিচারে প্লে অফের দৌড়ে থাকবে, কিন্তু ক্রমশ কঠিন হচ্ছে তাদের রাস্তা।
বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও কে এল রাহুলের পঞ্জাব কিংস। এই প্রথম যদি ধারাবাহিকভাবে দাপট দেখিয়ে থাকে আরসিবি তবে পঞ্জাবকে ভোগাচ্ছে ধারাবাহিকতার অভাব। নইলে যে দলে ক্রিস গেল, ময়ঙ্ক অগ্রবাল, নিকোলাস পুরান, দীপক হুডা বা স্বয়ং রাহুলের মতো বিগহিটার রয়েছে, তারা একের পর এক ম্যাচে বড় স্কোর তুলতে গিয়ে হোঁচট খায় কেন! শুক্রবার বড় স্কোর উঠলেও, আরও বড় রান তুলতে পারত পঞ্জাব। এক সময় মনে হচ্ছিল, দুশো সম্ভব। কিন্তু মিডল অর্ডারে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পঞ্জাব। নিকোলাস পুরান কোনও রান না করে আউট হলেন। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। যা পঞ্জাবের চিন্তা বাড়াবে। রাহুল ও গেল ছাড়া ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন হরপ্রীত ব্রার।
একই সমস্যা এক সময় আরসিবি-কেও ভুগিয়েছে। তারকাখচিত ব্যাটিং গড়েও ম্যাচের পর ম্যাচ হারতে হয়েছে বিরাট কোহলিদের। এবার ছবিটা যদিও সম্পূর্ণ আলাদা। এ বি ডিভিলিয়ার্সের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা রয়েছে। তবে বাকি ব্যাটসম্যানরাও রানের মধ্যেই আছেন। বিরাট কোহলি, দেবদত্ত পড়িক্কল, গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল, সকলেই ছন্দে। পাশাপাশি এই প্রথম আরসিবির বোলিং বিভাগকে বেশ ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে। বিশেষ করে যে ডেথ ওভারের বোলিং বছরের পর বছর আরসিবির কাঁটা ছিল, সেই ডেথেই এখন দাপট হর্ষল পটেল, মহম্মদ সিরাজদের।