বেঙ্গালুরু: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (Royals Challengers Bengaluru) বিরুদ্ধে শুরুতে কুইন্টন ডি ককের (Quinton de Kock) ইনিংস এবং শেষের ওভারগুলি নিকোলাস পুরানের (Nicholas Pooran) দুরন্ত পাওয়ার হিটিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান তুলল লখনউ সুপার জায়ান্টস (Lucknow Super Ginats)। ডি ককের সংগ্রহ ৮১ রান। পুরান ২১ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। আরসিবির হয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অনবদ্য বোলিং করেন। নিজের চার ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করে দুই উইকেট নেন তিনি। 


ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। লখনউয়ের হয়ে কেএল রাহুল এবং কুইন্টন ডি কক কিন্তু দুরন্তভাবে ইনিংসের শুরুটা করেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করে ফেলে লখনউ। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেই কেএল রাহুলকে সাজঘরে ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (Glenn Maxwell)। ২০ রানে আউট হন তিনি। রাহুলের মতো আরসিবির আরেক প্রাক্তনী দেবদূত পাড়িক্কালও নিজের ঘরের মাঠে রান পাননি। ছয় রানেই তাঁকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মহম্মদ সিরাজ।


তবে ডি কক কিন্তু নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। ১২তম ওভারে অর্ধশতরান পূরণ করেন তারকা কিপার-ব্য়াটার। ওই ওভারেই শতরানের গণ্ডি পার করে লখনউ। মার্কাস স্টোইনিসও ডি কককে ভালই সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর ইনিংসও সমাপ্ত করেন ম্যাক্সওয়েল। নিজের চার ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। নিকোলাস পুরান এরপর ক্রিজে ব্যাটিং করতে নামেন। পুরানের ব্যাটিং দক্ষতা সম্পর্কে সকলেই অবগত। দুই রানে তাঁর ক্যাচ ফেলেন অনুজ রাওয়াত। তাঁর মাশুল গুণতে হয় আরসিবিকে।


 






পুরান ২১ বলের ইনিংসে একটি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। ডি কক শতরান হাতছাড়া করলেও পুরানের দাপটে ১৮১ রান তুলল লখনউ। ম্যাক্সওয়েল বাদে রিস টপলি, মহম্মদ সিরাজ ও যশ দয়াল আরসিবির হয়ে একটি করে উইকেট পান। আরসিবি ঘরের মাঠে জয়ের ধারায় ফেরেন কি না এবার সেটাই দেখার বিষয়। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: হারের হ্যাটট্রিকের পর সকলের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক?