নয়াদিল্লি: পরের মরশুম শুরু হতে এখনও বেশ খানিকটা সময় বাকি রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই আগামী মরশুমের আইপিএলে কোন তারকা দল ছাড়ছেন, কোথায় তিনি যেতে পারেন এইসব বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বছরশেষেই বসবে নিলামের (IPL Auction) আসর। আইপিএল ২০২৫ মরশুমের আগে মেগা নিলাম আয়োজিত হবে। ফলে অনেক খেলোয়াড়ই দলবদল করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।


এই মেগা নিলামের না না নিয়ম নীতি, কোন কোন উপায়ে কতজন খেলোয়াড়কে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ধরে রাখতে পারবে, এইসব না না বিষয়ে কথা বলতে দিন কয়েক আগেই মুম্বইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কর্নধারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বিসিসিআই। আইপিএলে খেলোয়াড় ধরে রাখার জন্য রিটেনশনের পাশাপাশি আরও একটি বড় বিকল্প হল আরটিএম অর্থাৎ রাইট টু ম্যাচ কার্ড। এই কার্ডের সাহায্যে আগের মরশুমে দলের হয়ে খেলা কোনও ক্রিকেটারকে নিলামে তাঁর যা দর উঠল, সেই দামে আবার প্রাক্তন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের দলে নিয়ে নিতে পারে। তবে এই নিয়ম খেলোয়াড়দের জন্য অনুকূল নয় বলেই মনে করেন আর অশ্বিন (R Ashwin)।


রাজস্থান রয়্যালস তারকার মতে, 'খেলোয়াড়দের প্রতি এর থেকে বড় অন্যায় আর হয় না। এখনও পর্যন্ত আরটিএমের নিয়মটা কী? কেমনভাবে এর ব্যবহার করা হয়েছে? ধরে নেওয়া যাক একজন ক্রিকেটার সানরাইজার্সের হয়ে খেলত। তাঁর বর্তমান মূল্য পাঁচ, ছয় কোটি মতো ধরলাম। এবার সেই খেলোয়াড়কে সানরাইজার্স পুনরায় দলে নিতে চায়। সেক্ষেত্রে দুই কোটি টাকার বেস প্রাইস থেকে সানরাইজার্স দর হাঁকানো শুরু করবে। এবার ধরে নেওয়া যাক কেকেআর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিলামে সেই খেলোয়াড়ের জন্য দর কষাকষি করে তাঁকে ছয় কোটি টাকায় কিনল। সেক্ষেত্রে আরটিএম নিয়মের মাধ্যমে সানরাইজার্স ওই খেলোয়াড়ের জন্য ছয় কোটি টাকা দর হাঁকিয়ে তাঁকে আবার দলে নিয়ে নিল। সমস্যা হল এতে সানরাইজার্স খুশি হলেও, কেকেআর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কিন্তু হল না। শুরুতে বেস প্রাইসে বিড করার পরও সেই খেলোয়াড়কে দলে নিতে পেরে সানরাইজার্সই একমাত্র খুশি হল।'


তিনি নিজের ব্যাখায় যোগ করেন, 'এক্ষেত্রে তো খেলোয়াড় তার ন্যায্য দাম পেল না। কেকেআর এবং মুম্বই দর হাঁকাহাঁকি করে ছয় কোটি টাকা পর্যন্ত দাম নিয়ে গেল। এবার সানরাইজার্স এসে মাঝখান থেকে আবার সেই খেলোয়াড়কে সেই একই দামে দলে ফিরিয়ে নিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সানরাইজার্সের ৬.২০ কোটি টাকা দর হাঁকানোর কথা ছিল এবং অপর দলকে সেক্ষেত্রে তা ছাপিয়ে যেতে ৬.৪০ কোটি টাকা দর হাঁকাতে হত এবং এই করতে করতে খেলোয়াড়টির আসল দরে পৌঁছনো যেত। তাই আরটিএম থাকলে খেলোয়াড়রা সঠিক দর পায় না। এমনিই নিলামে সকলে ন্যায্য দর পায় না, তার উপর আরটিএম থাকলে তো খেলোয়াড়রা কার্যত খালি হাতেই নিলাম থেকে ফিরছে।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: হার্দিককে ছেড়ে দিচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স! পাণ্ড্যর জন্য় কোন কোন দল IPL নিলামে ঝাঁপাতে পারে?