যন্ত্রণাটা ভুলতে পারেননি শাহবাজ আমেদ। আইপিএলের নিলাম থেকে যাঁকে ২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে কিনেছিল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সেই থেকে হইচই চলছে ২৫ বছরের অলরাউন্ডারকে নিয়ে।
দু’মরসুম আগেও যিনি বাংলার ময়দানে ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রে। শুরু থেকেই তিনি তপন মেমোরিয়ালের হয়ে প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট খেলেন। তাঁর স্থানীয় পরিচয়পত্র নেই, এমন অভিযোগ তুলে সিএবি-র দ্বারস্থ হয়েছিল ময়দানের দুই ক্লাব। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে নির্বাসিত করেছিল সিএবি। স্থানীয় লিগে বড়িশার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। মাঠের বাইরে বসতে হয়েছিল। ম্যাচটি হেরেও গিয়েছিল তপন মেমোরিয়াল। পরে তিনি অভিযোগমুক্ত হন। এরপর বাংলা দলেও জায়গা করে নেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জোরে।
আইপিএল শুরুর আগে এবিপি আনন্দকে শাহবাজ বলেছিলেন, ‘বড়িশার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে না পারার যন্ত্রণা এখনও ভুলিনি। খুব ভেঙে পড়েছিলাম। একটা ম্যাচ খেলতে না পারায় ভীষণ দুঃখ পেয়েছিলাম। পরে অবশ্য অভিযোগ খারিজ হয়। তবে সেই অধ্যায় আমাকে মানসিকভাবে অনেক পোক্ত করেছে।’
তপন মেমোরিয়ালের কর্তা, প্রয়াত সুব্রত সরকার একবার জানিয়েছিলেন, তাঁদের ক্লাবের ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকা পার্থ চৌধুরী বাংলায় নিয়ে এসেছিলেন শাহবাজকে। হরিয়ানায় মেওয়াটে বাড়ি। বাবা মেওয়াটে এসডিএম অফিসে কেরানির চাকরি করেন। মা গৃহবধু। বোন চিকিৎসক। স্নাতক পাশ করেছেন শাহবাজ। হুগলির শ্রীরামপুরে স্টিল লেনে ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেখানেই থাকেন। তবে ক্লাবের বা বাংলার ম্যাচ থাকলে ক্লাব থেকেই থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বেন স্টোকসের ভক্ত শাহবাজ শনিবার খেললেন স্টোকসের বিরুদ্ধেই।
শাহবাজকে নিয়ে আর একটি তথ্য দিলেন বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল। জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার অরুণ ফোনে বলছিলেন, ‘ও স্মিথের ক্যাচটা যেভাবে নিয়েছে, প্রশংসনীয়। দারুণ ক্রিকেটার। তবে কাঁধে চোট পেয়েছিল। গত মরসুমে ওর কাঁধে অস্ত্রোপচারও হয়। বাংলা দলে ওকে ফিল্ডিং করার সময় ডাইভ দিতে নিষেধ করেছিলাম। তবে এখন সম্পূর্ণ ফিট। শনিবারের ক্যাচ তার প্রমাণ। শাহবাজ লম্বা দৌড়ের ঘোড়া।’