মুম্বই: দুরন্ত ছন্দে মিচেল মার্শ (Mitchell Marsh) ও ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে সংহারক মূর্তি ধারণ করলেন দুজনই। মার্শ ৬২ বলে করলেন ৮৯ রান। তাঁর ইনিংসে চিল ৫টি চার ও ৭টি ছক্কা। ৪১ বলে ৫২ রানে অপরাজিত রইলেন ওয়ার্নার। রাজস্থান রয়্যালসের ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল ঋষভ পন্থদের। প্লে অফের দৌড়ে টিকে রইল দিল্লি ক্যাপিটালস।


অশ্বিনের ব্যাটে রান


আইপিএলে তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করলেন আর অশ্বিন। বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) বিরুদ্ধে তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস (RR) টিম ম্যানেজমেন্ট। জস বাটলার (Jos Buttler) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন অশ্বিন। ৩৮ বলে ৫০ রান করে তাঁর ব্যাটিং দক্ষতার ওপর দলের আস্থার মর্যাদা রাখলেন তামিলনাড়ুর তারকা অফস্পিনার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন দেবদত্ত পড়িক্কল (Devdutt Padikkal)। ৩০ বলে ৪৮ রান করলেন তিনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে সঞ্জু স্যামসনরা  (Sanju Samson) তোলেন ১৬০/৬। ম্যাচ জিততে ১৬১ রান করতে হতো ঋষভ পন্থদের। যা ১১ বল বাকি থাকতেই তুলে ফেলল দিল্লি।


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। চলতি আইপিএলে (IPL) কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। পন্থও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি।


আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে থাকা বাটলার রাজস্থান ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মাত্র ৭ রান করে ফেরেন। সেখান থেকে ইনিংসের হাল ধরেন অশ্বিন ও যশস্বী জয়সবাল (১৯)। যশস্বী ফেরার পর দেবদত্ত ও অশ্বিন মিলে রাজস্থান ইনিংসকে টানেন। তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন দুজনে। তবে রাজস্থানের লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যর্থ। রান পাননি সঞ্জু (৫৬), রিয়ান পরাগ (৯)-রা। দিল্লি বোলারদের মধ্যে চেতন সাকারিয়া ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রানে ২ উইকেট পান। তিনি ছাড়াও ২টি করে উইকেট পেয়েছেন এনরিক নোখিয়া ও মিচেল মার্শ।


তবে সঞ্জু স্যামসন নয়, শেষ হাসি হাসলেন পন্থরাই।


আরও পড়ুন: বিরাট ধাক্কা, আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন ধোনির সেরা অস্ত্র