আমদাবাদ: বল হাতে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। সেই ভিতে জয়ের ইমারত গড়লেন দুই আইয়ার, বেঙ্কটেশ (Venkatesh Iyer) ও শ্রেয়স (Shreyas Iyer)। দুইজনেই অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি করলেন। ৩৮ বল বাকি থাকতে আট উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর। বেঙ্কটেশ ৫১ ও শ্রেয়স ৫৮ রানে অপরাজিত রইলেন।


ব্যাটিং সহায়ক পিচে দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে সানরাইজার্সকে ১৫৯ রানে অল আউট করে ম্যাচের রাশ প্রথম ইনিংসেই অনেকটা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল কেকেআর। এই পিচে ১৬০ রানের লক্ষ্যমাত্রা খুব একটা কঠিন ছিল না। ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের জুটি গোটা আইপিএলেই কেকেআরের হয়ে শুরুটা দুরন্তভাবে করে আসছিল। সল্ট ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে দেশে ফিরে গিয়েছিন। তাই বাধ্য হয়েই কেকেআরের ওপেনিং পার্টনারশিপে বদল ঘটাতে হয়। নারাইনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ়। কিন্তু ওপেনিং পার্টনারশিপে বদল ঘটলেও, খেলার ধরনে বদল ঘটেনি।


শুরু থেকে নেমেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করতে শুরু করেন নারিন এবং গুরবাজ়। আফগান তারকার ব্যাটিং রেকর্ড নাইটদের বিরুদ্ধে খুব একটা ভাল নয়। তিনি শুরুটা এদিন ভালভাবেই করেন। তবে টি নটরাজনের বলে ২৩ রানে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। সুনীল নারাইনও ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। ৬৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে কেকেআর। তবে এখান থেকেই ম্যাচের হাল ধরেন দুই আইয়ার। দুইজনে তৃতীয় উইকেটে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।




তবে জোড়া জীবনদানও পান নাইট অধিনায়ক। ১০ রানে ব্যাট করা শ্রেয়সের ক্যাচ ফেলেছিলেন ক্লাসেন। ১১তম ওভারে নটরাজনের বলে ১৪ রানে ব্যাট করা শ্রেয়সে ফের জীবনদান পেলেন। এবার তাঁর ক্যাচ ফেললেন ট্র্যাভিস হেড। ঠিক পরের বলেই ছক্কা হাঁকান শ্রেয়স। জয়ের দিকে দ্রুত অগ্রসর কেকেআরের হয়ে দুই আইয়ারই রানের গতি আরও বাড়ান। নীতীশ রেড্ডির বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৮ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন বেঙ্কটেশ। পরের ওভারেই ট্র্যাভিস হেডের বলে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মেরে কেকেআরের জয় সুনিশ্চিত করে ফেলেন শ্রেয়স।  




আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: 'বয়সের জন্য আমাকে কেউ ছাড় দেয় না', নিজের নতুন শখের কথাও জানালেন ধোনি