কলকাতা: আইপিএলে (IPL) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (PBKS vs RR)। রবিবার ইডেনে নামছে কেকেআর। সেই ম্যাচ খেলতে আজ কলকাতায় পৌঁছচ্ছেন বিরাট কোহলি। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


রুদ্ধশ্বাস জয় মুম্বইয়ের


আইপিএলের (IPL 2024) ৩৩তম ম্যাচে অনবদ্য লড়াইয়ের সাক্ষী হয়ে থাকল ক্রিকেটবিশ্ব। যে ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো একবার এই দল তো একবার অপরদলের দিকে শেষ পর্যন্ত দুলেই চলল। তবে শেষমেশ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নয় রানে পাঞ্জাব কিংসকে (Punjab Kings) হারিয়ে মরশুমের তৃতীয় জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। কাজে দিল না আশুতোষ শর্মার (Ashutosh Sharma) দুরন্ত ৬১ রানের ইনিংস। এই নিয়ে চলতি মরশুমেই পাঞ্জাব শেষ ওভারে এসে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ হারল।


লোকাল ট্রেনে চেপে অফিস যান সানা


তাঁর ছোটবেলা কেটেছে বীরেন রায় রোডের বিশাল লাল বাড়িটায়। বাবাকে চেনে গোটা বিশ্ব, মা নামকরা নৃত্যশিল্পী। তবে সেই তারকাদ্যুতি থেকে ছোট্ট মেয়েটি গা ভাসায়নি কোনোদিনই। চেষ্টা করেছে নিজের পরিচিতি তৈরি করার। যাঁকে গোটা বিশ্ব এক ডাকে চিনে নিত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly)- ও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Dona Ganguly) কন্যা বলে, তিনি বোধহয় চেয়েছিলেন, তাঁকে মানুষ প্রথমে চিনুক সানা গঙ্গোপাধ্যায় (Sana Ganguly) বলে। 


বর্তমানে লন্ডনে কর্মরত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, সানা। উচ্চশিক্ষার পরে, আপাতত লন্ডনেই কাজ করছেন তিনি। যিনি কলকাতার বুকে জীবন কাটাতে পারতেন বৈভবে, পরিচিতিতে, খ্যাতিতে, লন্ডনে কেমন কাটছে তাঁর জীবন? কলকাতায় বসে, এবিপি লাইভকে মেয়ের রোজনামচার গল্প শোনালেন, মা ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। 


পড়াশোনা শেষ করে, লন্ডনে থাকছেন সানা, বন্ধুদের সঙ্গেই। কেমন করে দিন কাটে তাঁর? ডোনা বলছেন, 'সানা লন্ডনের অ্যাপার্টমেন্টেই থাকে এখন। সেখান থেকে ওর অফিসের দূরত্ব ঘণ্টাখানেকের। টিউব নয়, সানা লোকাল ট্রেনে করেই যায়। ওর বাবা চেয়েছিল, সানা গাড়ি করেই যাতায়াত করুক। কিন্তু আমি তা চাইনি। আমি চেয়েছিলাম সানা সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করুক। সানা তাই ট্রেনে করে অফিস যাতায়াত করে।'


বিদেশে ভারত-পাক?


এরকম কোনও সিরিজ আয়োজন করা হলে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) অন্তত মুখিয়ে থাকবেন মাঠে নামার জন্য। ভারতীয় দলের অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে তাঁর কোনও আপত্তিই নেই।


প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও মাইকেল ভনের সঙ্গে একটি চ্যাট শোয়ে রোহিত বলেছেন, ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ শুরু হলে তিনি মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে থাকবেন। ২০১২-১৩ সালে মিসবা উল হকের নেতৃত্বে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল পাকিস্তান। সেটাই দুই দেশের শেষ কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। তারপর থেকে একমাত্র আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দেশ একে অন্যের মুখোমুখি হয় না। 


টেস্ট ক্রিকেটের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিদেশের মাটিতে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ আয়োজন করা কি ভাল হবে না? মাইকেন ভনের প্রশ্নে রোহিত বলেছেন, 'আমি বিশ্বাস করি হবে।' ২০০৭ সালের পর থেকে আর কোনও পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি ভারত ও পাকিস্তান। সেবারই শেষ টেস্ট ও সীমিত ওভারের সিরিজ খেলেছিল ভারত-পাকিস্তান।


রোহিত মনে করেন, শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ সমৃদ্ধ টেস্টে দারুণ একটা দল পাকিস্তান। বলেছেন, 'ওরা দারুণ দল। দুর্দান্ত বোলিং লাইন আপ। বিদেশের পরিবেশে খেললে দারুণ লড়াই হবে। দুর্দান্ত খেলা হবে।' রোহিত আরও বলেন, 'হ্যাঁ, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নিয়মিত টেস্ট সিরিজ হলে দারুণ হবে। দিনের শেষে আমরা খেলতে চাই। আমার মনে হয়, এই লড়াইটা দুর্দান্ত হবে। এমনিতে আমরা ওদের বিরুদ্ধে আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলি শুধু। আমি ক্রিকেটের মধ্যে যাবতীয় বিষয় নিয়ে কথা বলছি। আমি অন্য কিছু নিয়ে কথা বলছি না। ব্যাট এবং বলের মধ্যে দারুণ লড়াই হবে।'


আজ কলকাতায় কোহলি


তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা মুখ। তাঁর ব্যাটিং দেখার জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকেন গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভালবেসে ভক্তরা তাঁকে ডাকেন কিংগ বলে।


সেই বিরাট কোহলি (Virat Kohli) শুক্রবার পৌঁছে যাচ্ছেন কলকাতায়। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR vs RCB)। সেই ম্যাচ খেলার জন্য দুদিন আগেই তিলোত্তমায় পৌঁছে যাচ্ছেন বিরাট।


আইপিএলে (IPL 2024) হেরেই চলেছে আরসিবি। দশ দলের টুর্নামেন্টে তারা রয়েছে তলানিতে। দশ নম্বরে। সাত ম্যাচের মধ্যে ছটিতেই হেরে গিয়েছেন ফাফ ডুপ্লেসিরা। ঝুলিতে মাত্র ২ পয়েন্ট। আইপিএলের প্লে অফের পথও ক্রমশ ঘোলাটে হচ্ছে আরসিবির।


তবে কোহলি রয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে। দল হারলেও ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে বিরাট। ৭ ম্যাচে ৩৬১ রান। একটি সেঞ্চুরি, জোড়া হাফসেঞ্চুরি। অরেঞ্জ ক্যাপের মালিকও কোহলিই। ৭২.২০ গড়ে রান করছেন। স্ট্রাইক রেটও ১৪৭.৩৪ বেশ ঈর্ষণীয়। আইপিএলের আগে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল, কোহলি কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলের জন্য সঠিক বিকল্প? রিঙ্কু সিংহ, তিলক বর্মাদের উত্থান দলে কোহলির জায়গা নিয়েই জল্পনা তৈরি করেছিল। তবে আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করে সব প্রশ্ন, সমালোচনা, জল্পনা মাঠের বাইরে উড়িয়েছেন কোহলি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে তাঁর সেঞ্চুরি নিয়ে এখনও চর্চা চলছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার সঠিক ওপেনিং পার্টনার হতে পারেন কোহলিই।