কলকাতা: আইপিএলে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ২৭৭/৩ স্কোর তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। লড়াই করেও ৩১ রানে হারল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অলরাউন্ডারের বিস্ফোরক দাবি। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।
হায়দরাবাদে রেকর্ডের রাত
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) জার্সিতে আইপিএলে (IPL 2024) দুশোতম ম্যাচ আজীবন স্মৃতিতে থেকে যাবে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma)। যদিও, সুখস্মৃতি নয়। দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে। নিজামের শহরে পরাজিত হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তার চেয়েও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হল, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH) আইপিএলে রেকর্ড গড়ল। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তুলেছিল ২৭৭/৩। যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর। ভেঙে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ১১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ২০১৩ সালের আইপিএলে পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ২৬৩/৫ তুলেছিল আরসিবি। সেই রেকর্ড ভেঙে পড়ল হায়দরাবাদের ব্যাটারদের বিক্রমের সামনে।
রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে লড়াই করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ম্যাচের প্রথমার্ধ যদি হয়ে থাকে ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেন ও এইডেন মারক্রামের, তাহলে দ্বিতীয়ার্ধ দেখল তিলক বর্মা ও টিম ডেভিডের ব্যাটের শাসন। তবে ঝোড়ো ইনিংস খেলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি তিলক ও টিম। ২৪৬/৫ স্কোরে আটকে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে উঠল ৫২৩ রান। যা একটি রেকর্ড। এর আগে আইপিএলের কোনও ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচশো রান ওঠেনি। একটা সময় তো মুম্বই রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছিল হায়দরাবাদকে। যখন ১৪ ওভারে ১৮২/৩ তুলে ফেলেছিল মুম্বই। তবে ১৫ ও ১৬তম ওভারে মাত্র ৩ ও ৫ রান খরচ করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন প্যাট কামিন্স ও জয়দেব উনাদকাট। সেই চাপ থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি মুম্বই।
রোহিতের কীর্তি
তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) কিংবদন্তি। অধিনায়ক হিসাবে মুকেশ ও নীতা অম্বানির দলকে জিতিয়েছেন পাঁচ-পাঁচটি আইপিএল (IPL)। তিনি, রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। বুধবার অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দুশোতম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নামলেন হিটম্যান। আর তাঁর এই বিশেষ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগী হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বিশেষ জার্সি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হল রোহিতকে।
বুধবার নিজামের শহর হায়দরাবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেই ম্যাচ আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে রোহিতের দুশোতম ম্যাচ। আর বিশেষ এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য রোহিতের হাতে বিশেষ জার্সি তুলে দেওয়া হল। যে জার্সির পিছনে জ্বলজ্বল করছে ২০০। বিশেষ ম্যাচে এই জার্সি পরেই মাঠে নামেন রোহিত।
শুভমনের জরিমানা
তাঁর দল ম্যাচ হেরেছে। তারপর শুভমন গিলকে (Subman Gill) আরও বড় ধাক্কা খেতে হল। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে মন্থর বোলিংয়ের জন্য বিরাট অঙ্কের জরিমানা হল গুজরাত টাইটান্সের (CSK vs GT) অধিনায়কের।
শুভমন গিলকে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা সিএসকে-র বিরুদ্ধে গুজরাতের হারের ক্ষতকে আরও উসকে দেবে, নিঃসন্দেহে।
মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে যেন ছিল গত আইপিএলের ফাইনালের রিপ্লে ম্যাচ। কারণ, যুযুধান দুই দলই গত আইপিএলের ফাইনালে খেলেছিল। তবে গতবারের ফাইনালের মতোই ফল হল মঙ্গলবারের ম্যাচেও। চেন্নাই সুপার কিংস হেলায় হারাল গুজরাত টাইটান্সকে। চেন্নাইয়ের ২০৬/৬ তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৪৩/৮ স্কোরে আটকে যায় গুজরাত টাইটান্স। ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে সিএসকে।
বিস্ফোরক কেকেআর প্রাক্তনী
গত মরশুমে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) শিবিরে ছিলেন। তাঁকে আন্দ্রে রাসেলের (Yousuf Pathan) বিকল্প হিসাবে দলে নেওয়া হয়েছিল। যাতে রাসেল কোনও কারণে চোটের জন্য কোনও ম্যাচে খেলতে না পারলে তাঁকে ব্যবহার করা যায়। সেই ডেভিড উইজ়া (David Wiese) আচমকা নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন। জানিয়ে দিলেন, কেকেআর শিবির আতঙ্কিত হয়ে থাকত একজনের জন্য। তিনি, কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত (Chandrakanth Pandit)।
ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) তাঁর প্রশিক্ষণে মুম্বই, বিদর্ভ, মধ্য প্রদেশের মতো দল সাফল্য পেয়েছে। রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২৩ সালে তাঁকে কোচ করে আনে কেকেআর। গত আইপিএলে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের মতো তারকাকে ছাড়াই লড়াই করে কেকেআর। অল্পের জন্য প্লে অফের টিকিট পায়নি শাহরুখ খান, জুহি চাওলার দল। তবে তাঁকে নিয়ে যে কেকেআরের বিদেশি ক্রিকেটারদের সমস্যা হয়েছিল, জানিয়েছেন উইজ়া।
ফের অধিনায়ক বাবর?
বিশ্বকাপের পরই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এরপর নিজেই ইস্তফা দিয়েছিলেন বাবর আজম। এবার শোনা যাচ্ছে যে ফের বাবরকেই অধিনায়ক পদে দেখতে চাইছেন নির্বাচকরা ও টিম ম্য়ানেজমেন্ট। তার জন্য নাকি বাবরকে অনুরোধও করা হয়েছে পিসিবির পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, আগামী জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ফের বাবরকে দেখতে চাইছে বোর্ড।