আবু ধাবি: গত দেড় বছর জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রথমে হারিয়েছেন বাবাকে। তার কয়েক মাস পর হয়েছেন মাতৃহারা। ব্যক্তিগত শোকের মধ্যেও তাঁর স্পিন-শিল্পে যে মরচে পড়েনি, এমনকী, করোনার জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পরেও তিনি যে ঘূর্ণির ছোবলে ব্যাটসম্যানদের জীবন ওষ্ঠাগত করে তুলতে পারেন, তা দেখিয়ে দিলেন রশিদ খান।


মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন আফগান লেগস্পিনার। তাঁর শিকারের ঝুলিতে জমা পড়লেন শিখর ধবন, শ্রেয়স আইয়ার ও ঋষভ পন্থ – দিল্লির সেরা তিন ব্যাটসম্যান। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দিল্লিকে ১৫ রানে হারিয়ে ত্রয়োদশ আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলেন ডেভিড ওয়ার্নাররা। আর ম্যাচের সেরা হলেন রশিদ।

ম্যাচের সেরা হওয়ার পর রশিদ বললেন, ‘গত দেড় বছর আমার খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। প্রথমে বাবাকে হারালাম। তারপর ৩-৪ মাস আগে মা মারা গেলেন। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আমার সময় লেগেছে।’ আফগান লেগস্পিনার যোগ করেছেন, ‘মা আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন। বিশেষ করে আইপিএলে আমার খেলা মন দিয়ে দেখতেন। আমি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলে মা সারারাত আমার সঙ্গে গল্প করে কাটাতেন।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি বিশ্বের সেরা বোলার। সাফল্যের রসায়ন কী? রশিদ বলছেন, ‘আমাকে ম্যাচে প্রভাব ফেলতেই হবে, এসব ভেবে বল করতে যাই না, নিজের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিই না। শান্ত-সংযত থাকি। শুধু মাথায় রাখি আমি কী করতে পারি সেটা। মাঠে নেমে প্রাথমিক ব্যাপারগুলোয় মন দিই আর খেলাটা উপভোগ করি।’ যোগ করেছেন, ‘ওয়ার্নার সব সময় আমার দক্ষতায় আস্থা রাখে আর বলে, তুমি জানো দলের জন্য সবচেয়ে ভাল কী করতে পারো। একমাত্র আমি কিছু করতে না পারলে তখনই ক্যাপ্টেনকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি কী করা যেতে পারে।’